‘আমি অধিনায়ক, আমি হাল ছাড়তে পারি না’

ছয় ম্যাচে জয় মাত্র দুটি। বাকি চারটিতে হার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে রাজশাহী কিংসের অবস্থা যে কতোটা ‘সঙ্কটাপন্ন’ তা বোঝা যায় এই তথ্যেই। তাদের সবচেয়ে দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো, সে রকম কোনো উল্লেখযোগ্য পারফর্মই করতে পারেননি তাদের কেউ। বিশেষ করে বিদেশিদের প্রায় সবাই ম্লান। অথচ এর মধ্যেই লিগ পর্বের অর্ধেক ম্যাচ খেলে ফেলেছে রাজশাহী।

এরপরও অবশ্য রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক, যার নেতৃত্বে দুই দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেই ড্যারেন স্যামি বলছেন, ‘আমি অধিনায়ক, আমি কখনো হাল ছাড়তে পারি না। আমি ছেলেদের মনে করিয়ে দিয়েছি যে, গত বিপিএলের মাঝপথেও আমরা টেবিলের তলানিতে পড়েছিলাম। তারপরও আমরা দুই নম্বরে থেকে লিগ শেষ করেছি।’

গত বিপিএলের মতো এবারও দুই নম্বরে থেকে বা এ শীর্ষে থেকে বিপিএল শেষ করা যাবে বলে বিশ্বাস করেন আত্মবিশ্বাসী স্যামি। তিনি বলেন, ‘এবারও সেটা করা সম্ভব। তবে এর জন্য দরকার দলীয় প্রচেষ্টা, যথাযথ মনোভাব; সবচেয়ে বড় কথা হলো উইকেটে গিয়ে আমাদের পারফর্ম করতে হবে।’

রাজশাহীর বিপিএল শুরুই হয়েছিলো পরপর দুই হার দিয়ে। পরে তারা তৃতীয় ম্যাচে জিতে বটে, কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে এসে আবার ঢুকে পড়ে পরাজয়ের বৃত্তে। সেই বৃত্ত ভাঙার কাজটা তারা করতে সফল হয় পঞ্চম ম্যাচে এসে। কিন্তু ষষ্ট ম্যাচে আবার রাজশাহী ডুবে যায় হারের চোরাবালিতে।

এই যখন পরিস্থিতি, তখনও ইতিবাচক অনেক কিছু পাচ্ছেন স্যামি। এর মধ্যে আছে তরুণ জাকির হাসানের ব্যাটিং। শনিবার ঢাকার কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তরুণ সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসান স্যামি।

তিনি বলেন, ‘জাকিরকে অনুশীলনে যেমন দেখেছি, তাতে তার পারফর্ম্যান্সে আমি অবাক নই। সে আমাদের জন্য চমক জাগানিয়া এক পারফর্মার। সে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে। আমি ব্যাটসম্যানদের এমন ক্রিকেট খেলার কথাই বলেছি। আমি তাকে ভবিষ্যতে মূল বাংলাদেশ দলে দেখতে চাই।’

জাকিরের যে প্রশংসা স্যামি করেছেন, তা মোটেই বাড়াবাড়ি কিছু নয়। অনূর্ধ্ব-১৯ পার হয়ে হাইপারফর্ম্যান্স ইউনিট ও ‘এ’ দলেও দারুণ খেলেছেন তিনি। এর সঙ্গে যোগ হলো বিপিএলের নজরকাড়া ব্যাটিং। সব মিলিয়ে জাকিরকে নিয়ে স্যামি যা বলেছেন, তা যথাযথই। তার মতো আরো কয়েকজনকে পেলে, রাজশাহীর ভালো খেলার জন্য নিশ্চয় খুব বেশি ভাবতে হতো না স্যামিকে!