‘আফ্রিদির কাছে এমন পারফর্ম্যান্স সব সময় চাই’

প্রথমে চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে চার উইকেট। এরপর ১৭ বলে পাঁচ ছক্কার ঝড়ে ৩৭ রান। ম্যাচসেরা হওয়ার জন্য একটি টি-টোয়েন্টিতে আর কী-ইবা করার থাকে! এমন পারফর্ম করা ক্রিকেটারকে সব সময় দলে চাইবে যে কোনো অধিনায়ক। সাকিব আল হাসান এর ব্যতিক্রম হন কী করে!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুরের দর্শকরা সাক্ষী থাকলেন এক অবিশ্বাস্য ম্যাচের। যেখানে সিলেট সিক্সার্সকে ১০১ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ঢাকা জিতলো ৭৩ বল বাকি থাকতে। এতো বল বাকি রেখে বিপিএলে জয়ের কীর্তি নেই কোনো দলের।

ইতিহাস গড়া এই জয়ের পর ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব আল হাসান আফ্রিদিকে নিয়ে বলেন, ‘আমরা তাকে দলে নিয়েছি এমন সব পারফর্মের জন্যই। আমরা আসলে তার কাছে সব সময় এমন খেলা আশা করি। যদিও সেটা সব সময় সম্ভব নয়। তবে যে কোনো রকমের পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে আমাদের।’

আফ্রিদির সঙ্গে নারিন ও সাকিব নিজে; এ তিনজনে মিলে তৈরি হয়েছে ভয়ঙ্কর এক ‘স্পিন অ্যাটাক’। বিপিএলের সামনের ম্যাচগুলোতে যে অ্যাটাক নিয়ে বিপিএলের সামনে ম্যাচগুলোতে প্রত্যেক দলকেই করতে হবে বিশেষ হোমওয়ার্ক।

এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় না এ রকম অ্যাটাক সচরাচর দেখা যায়। ঘরোয়া পর্যায়ের কথা বললে আমরা তিনজন মনে হয় সেরা পাঁচের মধ্যে আছি। এমন স্পিন অ্যাটাক পাওয়াটা আসলে সৌভাগের ব্যাপার।’

ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলতে বলতে ঝলমল করছিলো সাকিবের চোখ-মুখ। দারুণ একটা ম্যাচ জেতার তৃপ্তি যে কেমন হতে পারে, তার মুখটা দেখেই তা বোঝা যাচ্ছিলো।

এমন তৃপ্তির আনন্দের দিনে বোলারদের জন্যই বেশি প্রশংসা বরাদ্দ থাকলো সাকিবের। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটিং লাইনের চেয়ে বোলারদের কাজটা বেশি। ব্যাটসম্যানরা হয়তো প্রত্যেক দিন ভালো খেলতে পারবে না। কিন্তু আমাদের বোলিং লাইন বিশ্বমানের। যার উপর সব সময় ভরসা করা যায়।’

ঢাকা ডায়নামাইটস বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এই আসরে সিলেট পর্বে খেলা দুই ম্যাচে তাদের মধ্যে চ্যাম্পিয়নসূলভ ব্যাপারটা সেভাবে চোখেই পড়েনি। তৃতীয় ম্যাচে এসে ঢাকা দেখালো কেনো তারা চ্যাম্পিয়ন এবং কেনো তাদেরকে চলতি আসরের শিরোপার অন্যতম দাবিদার বলা হচ্ছে!