হঠাৎ পদত্যাগ চান্দিকা হাথুরুসিংহের

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে যাওয়ার আবেদন করেছেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কান এই কোচ বিসিবিতে জমা দিয়েছেন তার পদত্যাগপত্র। এ বিষয়ে বিসিবি বা চান্দিকা, কেউই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

শোনা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড চান্দিকাকে তাদের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। লঙ্কান বোর্ড থেকে এ ধরনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, নিজ দেশের জাতীয় দলের দায়িত্ব নেয়ার উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ ছাড়ছেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে।

গত বছর অক্টোবরেও একবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন চান্দিকা। সে সময় বিসিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাকে বুঝিয়ে দায়িত্ব পালন করে যেতে রাজি করান।

অন্য দিকে, গ্রাহাম ফোর্ড চলে যাওয়ার পর প্রধান কোচের খোঁজ করছিলো শ্রীলঙ্কা। গত তিন মাসে একাধিকবার চান্দিকার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে তারা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে চান্দিকা নিজ দেশের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কিন্তু সর্বশেষ প্রস্তাব তিনি গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

এর পিছনে তাকে অনুপ্রাণিত করে থাকতে পারে মোটা অংকের বেতন ও দীর্ঘদিনের বন্ধু থিলান মুনাবিরার লঙ্কান ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া। মুনাবিরা কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শকও ছিলেন। চান্দিকার আগ্রহের কারণেই তাকে নিয়োগ দিয়েছিলো বিসিবি। যদিও তার অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশকে প্রত্যাশিত সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

চান্দিকা অবশ্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েই বাংলাদেশ ছাড়তে পারছেন না। কারণ গত বছরই তার সঙ্গে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চুক্তি করেছে বিসিবি। সেই চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশ ছাড়তে হলে চুক্তি বিষয়ক জটিল প্রক্রিয়া মেনেই যেতে হবে তাকে।

এ বিষয়ে আপাতত সুনির্দিষ্ট কিছু বলা যাচ্ছে না দুই পক্ষের নীরবতার কারণে। বিসিবি বা চান্দিকা, কেউই এখনো পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চান্দিকার আর বাংলাদেশে থাকা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সর্বশেষ বিদেশ সফর ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে অত্যন্ত বাজে পারফর্ম করেন মুশফিক-মাশরাফি-সাকিবরা। যা চিন্তায় ফেলে দেয় খোদ বিসিবিকেও। প্রশ্ন উঠে কোচ হিসেবে চান্দিকার ভূমিকা নিয়েও। এর পরপরই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। কাজটা হঠাৎ করে হলেও চান্দিকার ভাবনাটা যে হঠাৎ নয়, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।