আপনি পড়ছেন

তুরস্কের সামরিক বাহিনীর জন্য ২২টি প্রকল্প চূড়ান্ত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ। বিভিন্ন ধরণের সামরিক সরঞ্জামাদির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে হুররিয়াত ডেইলি নিউজ।

turkey army

খবরে বলা হয়, দেশের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে এন্টি ব্যালাস্টিক মিসাইল সিস্টেম, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, অত্যাধুনিক ট্যাংক, বৈদ্যুতিক সুরক্ষা সিস্টেমসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের জন্য এই বিশাল বাজেট খরচ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো-অভ্যন্তরীণভাবে (উৎপাদনে) এ প্রকল্পগুলো খুবই ব্যয়বহুল। আর প্রতিরক্ষা শিল্পে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তবে তুরস্কের নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্য দেশেও তা সহায়তার সামর্থ রয়েছে।'

তিনি প্রতিরক্ষা ক্রয় নিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রতিকূলতার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা এ ধরণের নীতি অনুসরন করি না। আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর উপকারে আসে এমন তথ্য ও প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করতে চাই।’

তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিবালয়ের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার তুর্কি সমরাস্ত্র বাহিনী আধুনিকরণ ও প্রতিরক্ষা শিল্পের অবকাঠামো উন্নয়নে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ইলদিরিম সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রথমবারের মত উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নূরেটিন চানিকলি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলেমান সয়লো। সেনাপ্রধান হালুসি আকার ও প্রতিরক্ষা সচিব ইসমাঈল দেমিরও এতে অংশগ্রহণ করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক চাচ্ছে, আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশীয়ভাবে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে উঠুক। বৈঠকে বহুল আলোচিত রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ও আলোচনায় স্থান পায়। রাশিয়া থেকে এ অস্ত্র আমদানি ন্যাটোভুক্ত দেশের জন্য সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা রয়েছে।

ইতিমধ্যে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তা ভ্লাদিমির কোজহিন জানিয়েছেন আঙ্কারা থেকে অগ্রিম পেমেন্ট দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এর খরচ ২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

এক নজরে তুর্কি সেনাবাহিনী: ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের প্রতিরক্ষা বাহিনী হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই তাদের শক্তি সবচেয়ে বেশি। তুরস্কে প্রতিরক্ষা বিভাগে মোট ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫০ জন সামরিক সদস্য রয়েছে। ন্যাটোভুক্ত যে পাঁচটি দেশ যৌথ পরমাণু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তুরস্ক তার অন্যতম সদস্য। বাকি দেশগুলো হলো জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি ও নেদারল্যান্ড। প্রতিরক্ষা বিভাগকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে তুরস্ক ১৬ হাজার কোটি ডলারের কর্মসূচি গ্রহণ করে।

ইসরায়েল-লেবানন সংঘাত এড়াতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতায় ২০০৬ সালে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তুরস্ক কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ও ৭০০ সৈন্য মোতায়েন করে।

দেশটির সেনাপ্রধানকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট, কিন্তু তিনি (সেনাপ্রধান) প্রধানমন্ত্রীর কাছে দায়বদ্ধ। জাতীয় নিরাত্তার ব্যাপারে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ পার্লামেন্টের কাছে দায়বদ্ধ। কোনো যুদ্ধ ঘোষণা, বিদেশে সৈন্য প্রেরণ কিংবা দেশের ভেতরে বিদেশী সৈন্যদের ঘাঁটি স্থাপন প্রত্যেকটি বিষয়েই পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিশনে তুর্কি বাহিনী কাজ করছে। জাতিসংঘ ও ন্যাটোর অধীনেই তারা বিভিন্ন মিশনে অংশ নিচ্ছে। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অধীনে তুর্কি বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে সোমালিয়ায় কাজ করছে। এ ছাড়া সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় শান্তি মিশনে ও প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাথে সহায়তা করেছে। বর্তমানে তুর্কি স্বীকৃত সাইপ্রাসে ৩৬ হাজার তুর্কি সেনা দায়িত্ব পালন করছে এবং ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানেও দায়িত্ব পালন করছে তুর্কি সেনারা।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.