তুরস্কে শরণার্থীদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ: এক লাখ কর্মসংস্থান

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থী এখন তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। বিশেষ করে সিরিয়া যুদ্ধের পর দেশটিতে শরণার্থীদের ঢল নামে।  জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হিসাবে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে তুরস্কে। সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ২৭ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে দেশটি।

ভরণপোষনের পাশাপাশি এসব শরণার্থীদের ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সুযোগ করে দিয়েছে দেশটি। যার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। শরণার্থী হিসেবে আসা সিরিয়ান ব্যবসায়ীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে তুরস্কের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এ খবর জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনদোলু এজেন্সি।

তুরস্কের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইএনজিইভি) তাদের পরিসংখ্যানে জানায়, সিরিয়ান মূলধনে তুরস্কে ৮ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এতে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আইএনজিইভির চেয়ারম্যান ভুরাল চাকির বলেন, 'তুরস্কে আসা শরণার্থীদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ সিরিয়ান শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাস করে, আর বাকি ৯৫ শতা্ংশই দেশটির বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।'

আনাদলু জানায়, সিরিয়ান শরণার্থীরা ধীরে ধীরে তরস্কে তাদের নিজেদের ব্যবসা শুরু করছে। বিপুল সংখ্যক কোম্পানি স্থাপন করছে। এদিক দিয়ে দেশটিতে বিদেশি কোম্পানিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে জার্মানিদের পরই সিরিয়ানদের অবস্থান। ৮,১০০ সিরিয়ান কোম্পানি তুরস্কে গড়ে ওঠেছে। এ সব কোম্পানিতে গড়ে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪১ লাখ টাকা) মূলধন রয়েছে।

তুরস্কের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল সাবাহ জানায়,সিরিয়ানদের ওই কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছোট ও মাঝারি ধরনের টেক্সটাইল, খাদ্য ও নির্মাণপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে ৯.৪ শতাংশ লোক কাজ করছে। মোট কর্মরত এক লাখ। সবাই সিরিয়ান।

সিরিয়ানও ওই শরণার্থীরা অবাধে কাজ করতে পারছে। তাদেরকে স্থানীয়রাও সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখে। তবে তুরস্কের চেম্বার অব কমার্স সব সময় তাদের নজরদারিতে রাখে যাতে তারা তুরস্কের আর্থিক ব্যবস্থার অসঙ্গতি কিছু না করে। তুরস্কের আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে কিনা তাও বিশেষভাবে নজরদারি করে তারা।