সাকিবের নতুনতম অর্জন

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের নাম সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে দেশের অন্যতম ভরসা তিনি। বল হাতেও পিছনে ফেলেছেন দেশের অন্য সবাইকে। সাকিবের আলোয় ঝলমল করে আইপিএল, বিগব্যাশ ও সিপিএলের মতো বড় বড় ঘরোয়া ক্রিকেট আসরও। এতো এতো কীর্তির স্বীকৃতি হিসেবে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সেরা অলরাউন্ডার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। পিছনে ফিলেছেন বিশ্বের বড় বড় তারকাদের। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম বোলার হিসেবে দেশের মাটিতে ১০০-এর বেশি টেস্ট উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি। ফতুল্লা টেস্টের তৃতীয় দিন শিখর ধাওয়ানকে আউট করে দেশের মাটিতে ১০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। পরে নেন আরো তিন উইকেট।

এশিয়ান চার টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে এতোদিন পর্যন্ত ১৮জন বোলারের এই কীর্তি ছিলো। সাকিবের মাধ্যমে সংখাটা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩-এ। এখনো ক্রিকেট খেলা এশিয়ান বোলারদের মধ্যে দেশের মাটিতে ১০০-এর বেশি উইকেট আছে কেবল ভারতের হরভাজন সিং (২৬৫), শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ (১৭১) ও ভারতের আরেকজন প্রজ্ঞান ওঝা (১০১)। এই তালিকা দেখলেই বোঝা যায়, সাকিবের সামনে সম্ভাবনা আছে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।

এমন বড় কীর্তির পরও অবশ্য সাকিবের এ নিয়ে তেমন উচ্ছ্বাস নেই। সাকিবের অবশ্য কিছুতেই উচ্ছ্বাসের বাড়াবাড়ি থাকে না। ক্রিকেটীয় আবেগ তার মধ্যে নেই বললেই চলে। বৃষ্টির কারণে ফতুল্লা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা বেশ খানিকটা সময় আগে শেষ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধ হয়ে আসেন সাকিব। দেশের মাটিতে ১০০ উইকেটের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে সাকিব জানান, এই রেকর্ডের কথা জানতেনই না!

জানার পরও অবশ্য খুব একটা ভাবান্তর হলো না তার মধ্যে। কেবল জানালেন, এই পারফর্মটা তিনি ধরে রাখতে চান। গত কয়েকটি টেস্টে সাকিবের বোলিং তেমন ভালো হচ্ছিলো না। ফলে কিছুটা হলেও দুশ্চিনায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে চার উইকেট পেয়ে ফর্মের ফেরার ইঙ্গিতটা দারুণভাবেই দিয়ে রেখেছেন সাকিব।

নিজের বদলে যাওয়া বোলিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঝে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। পরে আমি আমার কোচের সাথে কথা বলেছি (নাজমুল আবেদীন ফাহিম, এইচপির কোচ)। তিনি আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শের কারণেই কিছুটা ভালো হয়েছে বোলিং।’

আপনি আরো পড়তে পারেন

বৃষ্টিতে অসহায় সমাপ্তির পথে ফতুল্লা টেস্ট