ব্যাংকক থেকে ভিডিও বার্তায় কি বললেন অনন্ত জলিল

শিগগিরই অনন্ত-বর্ষা দম্পতির ঘর নতুন অতিথির আগমনে আলোকিত হবে। অনাগত সন্তানের বাবা-মায়ের মনে অন্যরকম শিহরণ। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে থাকা এ দম্পতি নিয়ে তাদের ভক্তদের কৌতুহলের শেষ নেই। বিশেষ করে অনন্ত জলিলের পাল্টে যাওয়া জীবন নিয়ে ভক্তদের রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। এসব চিন্তা করেই ভক্তদের জন্য নতুন ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় এ অভিনেতা।

ব্যাংককের একটি মসজিদে নামাজ আদায় শেষে অনন্ত জলিল তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে ভিডিও বার্তাটি দেন। ভিডিও বার্তায় অনন্ত জলিল বলেন, 'আমি এখন ব্যাংককে। নামাজ আদায় করলাম। আমার এই ভিডিওবার্তা দেওয়ার কারণ হচ্ছে, ইসলামের পথে মানুষকে দাওয়াত দেওয়া এবং সবাইকে নামাজ পড়ার আহ্বান জানানো। আমরা বেশিরভাগ সময়ই থাইল্যান্ডে ঘুরতে আসি। এখানেও অনেক (বাংলাদেশি) কর্মরত আছে। যাই হোক না কেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। আমরা কাজকে বলব নামাজ আছে, কিন্তু কখনও নামাজকে বলব না কাজ আছে। আর জুম্মার নামাজ তো অবশ্যই পড়তে হবে। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।'

বাংলা ছবির নায়ক অনন্ত জলিল তার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে ধর্মীয় কাজে এখন নিয়মিত সময় দিচ্ছেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপিও বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ দেশের যুব সমাজকে তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসের দিকে আহ্বান করবেন তার খ্যাতি বা জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে।'

অনন্ত জলিলের ভাষায়- 'আমাদের জীবন দিয়েছেন আল্লাহ। এই পৃথিবীতে পাঠানোর প্রধান কারণ হলো তার ইবাদত করা। আমি মক্কায় এটা শিখতে পেরেছি। যদি আমি যুব সমাজের মাঝে ইসলাম প্রচার করি তাহলে তারা আল্লাহকে মেনে চলবে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে অনুসরণ করবে। দিনে ৫ বার নামাজ আদায় করবে।'

এ বছরের শুরুতে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে গিয়েছিলেন ওমরাহ করতে। ফিরে এসে যোগ দিয়েছেন তাবলিগ জামায়াতে। এর মাধ্যমে তিনি যুব সমাজকে ইসলামের আসার জন্য দাওয়াত দিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, অনন্ত জলিল ও লেভেল আর এ লেভেল করেছেন ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। এরপর ম্যানচেস্টার থেকে বিবিএ এবং ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৯৯ সালে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ২০১০ সালে খোঁজ-দ্যা সার্চ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন সফল এ গামেন্টস ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি নিজের প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করে সেখানেও সফলতা পেয়েছেন। কেড়েছেন ভক্তদের হৃদয়।

বিশেষ করে সামাজিক সামাজিক কর্মকাণ্ডে অনন্ত জলিলের কথা প্রায় সবারই জানা। তিনি ৩ টি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। এসব এতিমখানার ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মিরপুর ১০, বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে অবস্থিত। এছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ তাকে বিশেষভাবে পরিচিত করেছে। আর ঢাকার হেমায়েতপুরের বায়তুস শাহ জামে মসজিদ নির্মাণেও অনন্ত জলিলের বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে।