চলতি মাসেই মিয়ানমার যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চলতি মাসেই মিয়ানমার সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য এ সফরে যাবেন তিনি। সচিবালয়ে জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে রোববার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নির্ধারিত ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর। কিন্তু সম্প্রতি দেশটিতে সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের কারণে নতুন করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু করে। তখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর। সফরের সময়সূচি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিয়ানমার সফরের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, '২৫ আগষ্টের পরের ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসব এজেন্ডা ঠিক করবেন।'

তিনি বলেন, 'এরই মধ্যে মিয়ানমারের লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে এসেছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি আমার প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসাবে থাকবে। এছাড়াও আগে নির্ধারিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। এগুলো নিয়ে আমাদের রাষ্ট্রদূত কাজ করছেন। সফরের সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে এমাসের মাধ্যেই হবে বলে আশা করছি।'

মন্ত্রী বলেন, 'মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দফতরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়ে বলে গিয়েছিলে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সব সময়ই যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আমরা মনে করি, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে।'

রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে ইয়াবা চোরাচালানের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্রথম দিকে পরিস্থিতি অন্য রকম ছিলো। তখন অল্প অল্প করে রোহিঙ্গা ঢুকতো। কিন্তু এই মুহূর্তে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে। প্রথমদিকে নিরাপত্তা বাহিনী, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিরা সবাই যৌথভাবে কাজ করেছেন। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখন স্বাভাবিক।'

মন্ত্রী বলেন, 'ইয়াবা প্রতিরোধ একটা চলমান প্রক্রিয়া ছিল। ইয়াবা আসবেনা এমন কথা জোর দিয়ে বলছি না তবে যারা আসছে বা যখনই সন্দেহ হচ্ছে তল্লাশি করা হচ্ছে। সবকিছু আমাদের নজরদারিতে আছে।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'রোহিঙ্গাদের বলা হয়েছে বিভ্রান্তিমূলক কথায় কান না দেয়ার জন্য। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপদেশ মেনে চলতে এবং এদেশের আইনবিরোধী কোনো কাজে সম্পৃক্ত না হওয়ার ব্যাপারেও স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে।'