ঢাকার যানজট সামাল দিতে আসছে ৩৯ কি.মি. উড়াল সেতু
- Details
- by জাতীয় ডেস্ক
সব কিছু ঠিক থাকলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে যাবে আগামী বছরের ডিসেম্বর কিংবা ২০১৯ সালের প্রথম দিকেই। সম্ভাবণার দুয়ার খুলে যাবার সাথে সাথে ঢাকার উপর চাপ কমবে জীবিকার। কেটে যাবে পূর্বের মত একদিন ব্যায় করে ঢাকা আসা এবং অবস্থান করে পরের দিন শেষে সারা রাতের যাত্রার বিড়ম্বনা।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা
দিনের কাজ দিনে শেষ করে নিমিষেই চলে যাওয়া যাবে নিজ নীড়ে। যোগাযোগের এই সুবিধাার ফলে ঢাকায় বাড়বে যানবাহনের চাপ। রাজধানীর যানযট এখনো স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। ফলে পদ্মা সেতু বেয়ে চলা আসা গাড়ীর চাপে ঢাকার যানযটের সমস্যা আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তবে আশার কথা হল ঢাকার এই বাড়তি চাপ সামল দিতে তৈরি হতে যাচ্ছে ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সেতু)।
এতদিন ধরে ঢাকার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলেছে উত্তর -দক্ষিণে। এই চলার পথেও থাকছে মিরাক্কেল। এবার গাড়ি উড়াল সড়কের হাত ধরে গাড়ি উড়াল দেবে পূর্ব -পশ্চিমে। পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাজধানীর পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তকে সংযুক্ত করবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর নকশা ও কর্মযজ্ঞ
জানা গেছে, রাজধানীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে সংযোগ স্থাপনকারী এই এক্সপ্রেসওয়েটির মূল পয়েন্ট হবে সাভার উপজেলার বলিয়াপুর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মধুমতি মডেল টাউনের কাছে। এখান থেকে একটি অংশ চলে যাবে সাভার-হেমায়েতপুরের দিকে। অপর অংশটি গিয়ে নামবে পুরান ঢাকার নিমতলী থেকে কেরানীগঞ্জ-ইকুরিয়া- জাজিরা-ফতুল্লা-হাজীগঞ্জ-বন্দর-মদনপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে। মূলত হেমায়েতপুর থেকে সাভার বলিয়াপুর হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে এটা মিলিত হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই মহাসড়কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হবে।
সরকারের সেতু বিভাগ সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে পদ্মাসেতু হয়ে আসা যাত্রীরা ঢাকায় প্রবেশ না করেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলে যেতে পারবে। এছাড়া বলিয়াপুর পয়েন্ট থেকে কেরানীগঞ্জ জেল গেট দিয়ে আলাদা লিংক রোড নির্মাণও করা হবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই রুটের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হয়েছে। এই রিপোর্ট চলতি অক্টোবর মাসের শুরুতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সেতু বিভাগ।
জানা গেছে, এই উড়াল সড়ক নির্মাণে অর্থায়ন করবে মালয়েশিয়া। বিল্ট অপারেট অন অ্যান্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে গত সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি) মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য মালয়েশিয়ার নিকট প্রস্তাব পাঠিয়েছে সেতুবিভাগ। বিওওটি পদ্ধতিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত এই রুট ব্যবহারকারী যানবাহনের টোল আদায় করা হবে। একই সাথে ৫০ বছর পর্যন্ত সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
মেয়র মোহাম্মাদ হানিফ ফ্লাইওভার
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আলীম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি বিওওটি পদ্ধতিতে নির্মাণ করার পরিরকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে। পদ্মাসেতু খুলে দিলে ঢাকার চাপ সামলানোর জন্য এটা হবে ভিন্ন ও কার্যকরী একটি রুট। চারলেন এই উড়াল সড়কে পথচারী ও মটরসাইকেলের জন্য থাকবে আলাদা-আলাদা লেন। যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ৮০ কিলোমিটার।’
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘কন্সট্রাকশন অব ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পের আওতায় যানজট থেকে ঢাকাকে বাঁচাতে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। ইতোমধেই ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমে ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করেছি।’
তিনি জানান, মালয়েশিয়া এই উড়াল সড়ক নির্মাণে অর্থায়ন করতে চেয়েছে। এর সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৩০ কোটি ডলার। প্রতি ডলার সমান ৮০ টাকা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর খরচ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের আগেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.