শান্তিতে নোবেলের অংশীদার বাংলাদেশও

এবছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছে বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে উদ্যোগী বেসরকারী সংগঠন ‘আইসিএএন’। সংগঠনটির পুরো নাম ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেন টু এ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন্স। আইসিএএনের সাথে নোবেল পুরস্কারের অংশীদার হয়েছে বাংলাদেশও। বাংলাদেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র (সিবিএস) ও ফিজিশিয়ান ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি নামের দুটি বাংলাদেশি সংস্থার নাম এসেছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ প্রচারাভিযানের অংশীদার হিসেবে। শুক্রবার নরওয়ের স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় দেশটির রাজধানী অসলোতে এ পুরস্কার ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।

আইসিএএন নিজেদের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার জোট হিসেবে পরিচয় দেয়। আইসিএএন নিজেদের ওয়েবসাইটে বলে, ১০১টি দেশের ৪৬৮টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠন করা হয় এই জোট। এই সবগুলো সংগঠন নিয়েই আইসিএএন পরমানু অস্ত্রবিরোধী প্রচারাভিযান পরিচালনা করে। শতাধিক দেশে এই জোট প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছে। জোটটি ভিয়েনায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে ২০০৭ সালে।

২০১৪ সালে আইসিএএনের সদস্য হয় বাংলাদেশি সংগঠন সিবিসি। অন্যদিকে ২০০৬ সাল থেকেই জোটের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করে ফিজিশিয়ান ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি। পরমাণু অস্ত্রের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের .পরিচালনা করে থাকে এই দুটি সংগঠন।

বাংলাদেশ অধ্যয়ন কেন্দ্র নামে ট্রাস্টি সংগঠনটি কাজ করছে পরমাণু অস্ত্র ও আণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষতিকর দিক নিয়ে। ২০১২সালে থেকে সংগীতশিল্পী ও অ্যাকটিভিস্ট অরূপ রাহীর উদ্যোগে কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি। সংগঠনটির প্রধান কার্যালয় রাজধানীর ধানমন্ডিতে। পরমানু অস্ত্রের ক্ষতি নিয়ে নিয়মিত সেমিনার, বিভিন্ন প্রচারাভিযান ও পুস্তিকা প্রকাশ করে আসছে সিবিসি।

এ ব্যাপারে অরূপ রাহী বলেন, 'নোবেল পুরস্কার কোনো অবিসংবাদী পুরস্কার নয়। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আইসিএএনের নোবেল প্রাপ্তি বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বৈশ্বিক আন্দোলনে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।'

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ফিজিশিয়ান ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, 'পরমাণু অস্ত্রের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে মানুষকে সচেতন করা আমাদের মূল কাজ। তাছাড়া আমরা নিয়মিত সভা ও সেমিনার করছি জনস্বাস্থ্য এবং রোগী ও চিৎসকের সম্পর্ক নিয়ে।'