ভারতের সঙ্গে ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণচুক্তি সই...

ভারতের সঙ্গে ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। ঋণচুক্তিটি সাক্ষরিত হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে।

বুধবার, ৪ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দেশের ইতিহাসে কোন ঋণচুক্তির আওতায় এটিই হচ্ছে দ্বিতীয় বড় ঋণচুক্তি। এর আগে সবচেয়ে বড় ঋণচুক্তি হয়েছিল রাশিয়ার সাথে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের টাকায় যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা।

গত সাত বছরের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের ঋণ দিল ভারত, যা তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত। আগের দুটি এলওসিতে মোট ৩০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। গত জুন মাস পর্যন্ত প্রথম এলওসির মাত্র ৩৫ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। প্রথম এলওসির ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৮টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় এলওসির কোনো প্রকল্পে অর্থ এখন পর্যন্ত ছাড় হয়নি।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ঋণচুক্তিতে কোনো প্রকল্পের নাম থাকবে না। তবে তৃতীয় এলওসির এই অর্থ দিয়ে বড় বড় কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মোট ১৭টি প্রকল্প করার প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ।

তালিকায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন, পায়রা বন্দরের বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণ, বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার ও তীর সংরক্ষণ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ১ লাখ এলইডি বাল্ব সরবরাহ প্রকল্প, মোল্লাহাটে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করা।

এছাড়াও এই অর্থ দিয়ে বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দ্বৈতগেজ রেলপথ নির্মাণ, সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নতকরণ, বেনাপোল-যশোর-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা, চট্টগ্রামে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, ঈশ্বরদীতে কনটেইনার ডিপো নির্মাণ, কাটিহার-পার্বতীপুর-বরনগর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন তৈরি, মোংলা বন্দর উন্নয়ন, চট্টগ্রামে ড্রাই ডক নির্মাণ, মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত চার লেনে সড়ক উন্নীত করা, কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর হয়ে সরাইল পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে।