প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে আবদুল ওয়াহহাব মিঞা

প্রধান বিচার প্রতির দায়িত্ব নিয়েছেন বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা। গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটিতে গেলে ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি হিসেবে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গতকালই (সোমবার) আইন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার কাছে পৌঁছেছে।

আজ মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর সকাল ৯টা ৫ মিনিটে মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা প্রধান বিপারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ আপিল বিভাগের ১ নম্বর বিচারকক্ষে কার্যক্রম শুরু করেন। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই বেঞ্চের কার্যক্রম চলে।

অন্যদিকে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে সোমবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ সভা ডাকা হয়েছে। এতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত থাকবেন।

গত ২৭ আগস্ট থেকে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পর (সরকার ঘোষিত ছুটি এবং সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষে) আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট খুললো। আদালত খোলার আগেই প্রধান বিপারপতি এক মাসের ছুটিতে যাওয়ার ওয়াহহাব মিয়া তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির দায়িত্ব নিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করেন। বাতিলের মূল রায়টি প্রধান বিচারপতিই লেখেন। রায়ে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজ, রাজনীতি, নির্বাচন কমিশন ও সংসদ এবং সামরিক শাসন নিয়ে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেন।

তবে সরকারের দায়িত্বশীল অনেকেই রায়ের ওই পর্যবেক্ষণের তীব্র সমালোচনা করেন। একপর্যায়ে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাদের দাবিও করেছেন।