ধোনি-হার্দিকের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং, ভারতের সংগ্রহ ২৮১

মাত্র ৮৭ রানে পড়ে গিয়েছিলো ভারতের পাঁচ উইকেট। কোনো রান করতে পারেননি বিরাট কোহলি। শুরুর দিকে ব্যর্থ ছিলেন আজিঙ্কা রাহানে। চার নম্বরে খেলতে নামা মানিশ পান্ডের নামের পাশেও শূন্য। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই হেরে যেতে বসেছিলো ভারত। কিন্তু এমএস ধোনির অবিশ্বাস্য ৭৯ এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়ো ৮৩ রানে ভর করে ২৮১ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা।

ধোনি যখন উইকেটে নামেন, ভারতের সংগ্রহ তখন পাঁচ উইকেটে ৮৭ রান। এমন পরিস্থিতিতে ষষ্ট উইকেটে হার্দিক পান্ডেকে নিয়ে ১১৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটিতে তার অবদান মোটে ৫০ বলে ২৯। বাকি ৮৩ রান করেছেন পান্ডিয়া। ৮৩ করতে পান্ডিয়া খেলেছেন মাত্র ৬৬ বল। এই তরুণ চার ও ছয় মেরেছেন পাঁচটি করে।

চেন্নাইয়ে পান্ডিয়ার ব্যাটিং দর্শকদের যদি বিনোদন দিয়ে থাকে, তবে প্রশান্তি দিয়েছে ধোনির ব্যাটিং। দলের বিপর্যয়ের সময় কিভাবে হাল ধরতে হয়, তার আরো একটি প্রামাণচিত্রই রচনা করেছেন তিনি। প্রথম ৪০ রান করতে একটা চারও মারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। একমাত্র আগলে রেখে পান্ডিয়াকে এগিয়ে নিয়েছেন তিনি।

দলীয় ২০৫ রানে পান্ডিয়ার আউটের পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে পরিস্থিতির দাবি মেটান ধোনি। এবার ভুবনেশ্বর কুমারকে নিয়ে গড়েন ৭২ রানে জুটি। যাতে তার অবদান ৪২ এবং তা মাত্র ২৬ বলে! বাকি ২৮ রান করতে ভুবনেশ্বর খরচ করেন ২৮ বলই।

ষষ্ট ও সপ্তম উইকেটের জুটি দুটির কারণেই মূলত চেন্নাইয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে ভারত। যদিও যে উইকেটে খেলা হচ্ছে, সেখানে ২৮১ রান শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট নাও হতে পারে।

ভারতকে আজ বিপদে ফেলে দেয়ার মূলে ছিলেন নাথান কাল্টার ও মার্কাস স্টইনিস। এ দুজনই ভারতীয় টপ ও মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন। নাথান কাল্টার ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। আর মার্কাস ১০ খরচ করেন ৫৪ রান। উইকেট নেন দুটি।