চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন দুই দলেরই

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটা হয়ে থাকলো দুই দলেরই। ম্যাচের প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে যায় দুই উইকেট। আর শেষ সেশনে এক উইকেট। সাব্বির রহমান ও মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্কোর দিন শেষে দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ২৫৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান লায়ন নেন পাঁচ উইকেট।

প্রথম সেশনে বাংলাদেশ হারায় তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে। তিনজনকেই বিদায় করেন নাথান লিয়ন। এদের মধ্যে সৌম্য সরকার লাঞ্চের দুই বল আগে আউট হন।

ঢাকায় দুই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ঘরের মাঠের টেস্টের প্রথম ইনিংসে নয় রান করেন তামিম। ৩৪ বল খেলে এই রান করেন তিনি। নাথান লায়নের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার কয়েক বল আগে স্লিপে লাইফ পান তামিম। প্যাট কামিন্সের বল ওঠা ক্যাচটি ধরতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

ঢাকা কিছু করতে না পারা ইমরুল ব্যর্থতার চক্র ভাঙতে পারেননি চট্টগ্রামেও। তিনি মাত্র চার রান করে বিদায় নেন। তিনি লায়নের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন।

আম্পায়ার অবশ্য ইমরুলকে প্রথমে আউট দেননি। ফলে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্টিভ স্মিথ। রিপ্লে দেখে ইমরুলকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার আলিম দার। আর সৌম্য আউট হন লাঞ্চ বিরতির ঠিক দুই বল আগে। তিনিও পড়েন এলবিডব্লিউর ফাঁদে।

প্রথম সেশনে এক বিরল কাজ করে বসে অস্ট্রেলিয়া। ১১ বছর তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নাথান লায়নকে বোলিংয়ে আনেন স্মিথ। ৭৯ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কোনো স্পিনার টেস্টের প্রথম দিন সকালে বোলিং ওপেন করেননি।

দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারায় মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসানকে। দলীয় ৮৫ রানে আউট হন মুমিনুল হক। নানা নাটকীয়তার পর স্কোয়াডে ঢোকা মুমিনুল ঢাকা টেস্টের একাদশে ছিলেন না। চট্টগ্রামে জায়গা পেয়ে তিনি খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। তিনিও আউট হন লায়নের বলে।

মুমিনুলের উইকেট নিয়ে বিরল এক নজির গড়েন লায়ন। এই প্রথম টেস্টে প্রথম চার ব্যাটসম্যান আউট হলেন একই বোলারের কাছে এবং এই প্রথমবার টেস্টে প্রথম চার ব্যাটসম্যান বিদায় নিয়েছেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে।

শেষ সেশনে সাব্বির রহমানকে হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করে ৯৮ রান। সাব্বিরের আউটটি নিয়ে অবশ্য বিতর্ক হতে পারে। নাথান লায়নের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের পুল করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে বসেন সাব্বির। চলে যান পপিং ক্রিজের বাইরে। স্ট্যাম্পিং করতে মোটেও ভুল করেননি ওয়েড।

সাব্বির আউট হওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে গড়েন ১০৫ রানের জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসে এখন পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ রানের জুটি। 

দিন শেষে ৬২ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম এবং ১৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন নাসির হোসেন। বাংলাদেশের স্কোর ছয় উইকেটে ২৫৩ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন নাথান লায়ন এবং একটি উইকেট অ্যাশটন অ্যাগারের।