প্রথম সেশনেই তিন উইকেট নেই বাংলাদেশের

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। মাত্র নয় রান করে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। পরে ইমরুল কায়েস করে যান মাত্র চার রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হক। কিন্তু লাঞ্চের দুই বল বাকি থাকতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সৌম্য। তিনটি উইকেটই নেন নাথান লায়ন।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুশফিকুর রহিম। শফিউলের বদলের মুমিনুল হককে নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া একাদশে পরিবর্তন আসে দুটি। ইনজুরড জস হ্যাজলউডের জায়গায় সুযোগ পান স্টিভ ওকিফে। আর উসমান খাজার জায়গায় একাদশে ঢোকেন হিলটন কার্টরাইট।

শুরুটা ভালোই করেছিলেন তামিম-সৌম্য। এ দিন দ্বিতীয় ওভারেই নাথান লায়নের হাতে বল তুলে দেন স্টিভ স্মিথ। শেষবার ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নটিংহ্যামে কোনো স্পিনারকে দিয়ে বোলিং ওপেন করিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। এতো বছর পর আবার চট্টগ্রামে ফিরলো সেই স্মৃতি। এর ফলও অবশ্য পেয়েছে সফরকারীরা। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের পড়ে যাওয়া সব উইকেট পেয়েছেন একজন স্পিনারই।

বাংলাদেশ দলের কম্বিনেশনেও দেখা গেছে চমক। এবারই প্রথমবার টপঅর্ডারের সেরা চার ব্যাটসম্যান বাঁহাতি। বাংলাদেশ দলের এমন কম্বিনেশন আগে কখনো দেখা যায়নি।

ম্যাচের দশম ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাথান লায়নের বল টাইমিংকে গড়বড় লাগিয়ে লায়নের স্লাইডারে আউট হয়ে যান তামিম। আউট হওয়ার কয়েক বল আগেই প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে তামিম বেঁচে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ভুলে। বাঁ দিকে ঝুঁকে গিয়েও ক্যাচটা নিতে পারেননি তিনি।

তামিমের লাইফ পাওয়াটা অস্ট্র্রেলিয়ার জন্য ছিলো চরম হতাশার। কিন্তু সেই হতাশাটা দীর্ঘ করতে ব্যর্থ হন তামিম। তার পথ ধরে ফিরে যান ইমরুল কায়েসও। বার দুয়েক সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া ইমরুলকে অবশ্য প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্টিভ স্মিথ। টিভি আম্পায়ার দেন আউটের সিদ্ধান্ত।

লাঞ্চ বিরতির ঠিক দুই বল আগে বিদায় নেন সৌম্য। লায়নের বলে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন তিনি। লাঞ্চ বিরতির সময় বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় তিন উইকেটে ৭০ রান।