অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদশের অবিস্মরণীয় জয়
- Details
- by খেলাধুলা প্রতিবেদক
ম্যাচ শুরুর আগে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন যে, এই সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জেতার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের। স্টিভ স্মিথের কাছে যখন এই কথাটা বলা হলো, তিনি বললেন এটা নাকি বাংলাদেশের অতি আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ। কিন্তু প্রথম টেস্টে সাকিবের কথাই সত্য হলো। মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইতিহাস কাঁপানো এক জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিন লাঞ্চের পর অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিলো ৬৬ রান। তখনও তাদের হাতে আছে তিন উইকেট। ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। বাংলাদশের জয়ের মাঝখানে বাধা হয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যানই।
লাঞ্চের পর প্রথম ওভার করতে আসেন সাকিব। প্রথম বলেই তিনি উপড়ে ফেলেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট। সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। ম্যাক্সওয়েল ছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের পঞ্চম উইকেট। প্রথম ইনিংসেও পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার উভয় ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট পেলেন সাকিব।
এর আগে ২০১৪ সালে খুলনা টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এ ধরনের কীর্তি বাংলাদেশের হয়ে আর আছে কেবল এনামুল হক জুনিয়র ও মেহেদি হাসান মিরাজের। এনামুল ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন সাত ও পাঁচ উইকেট। আর মিরাজ, গত বছর ঢাকা টেস্টে মিরাজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ছয়টি করে উইকেট নেন।
ঐতিহাসিক এই জয়ের শেষ দিনে, মানে আজ অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিলো মোট ১৫৬ রান। উইকেটে অপরাজিত ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। এ দুজনকে বিদায় করেন সাকিব। বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনার পথে যে আধারটুকু ছিলো, তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায় তখনই।
ওয়ার্নার ও স্মিথকে বিদায়ের পর ম্যাথু ওয়েড ও ম্যাক্সওয়েলের উইকেট নেন সাকিব। সাকিবের তাণ্ডবের সঙ্গে যোগ দেন তাইজুল ইসলামও। স্লিপে হ্যান্ডসকবকে সৌম্যর ক্যাচ বানান তিনি আর অ্যাশটন অ্যাগারকে ফিরতি ক্যাচে ফেরান ড্রেসিংরুমে।
১৯৯ রানে অস্ট্রেলিয়ার অষ্টম উইকেট তুলে নেয়ার পর বাংলাদেশের জয় হয়ে দাঁড়ায় কেবলই সময়ের ব্যাপার। বাকি কাজটা শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে আরো ৪৫ রান যোগ করার পর। বাংলাদেশ জিতে যায় ২০ রানে।
বাংলাদেশ এই টেস্টের আগে মোট ১০০টি টেস্ট খেলেছে। এতে জয় এসেছে মাত্র নয়টিতে। ড্র হয়েছে ১৫টি। অন্য ৭৬টি ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ। নয় জয়ের মধ্যে পাঁচটিই এসেছে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বাকি চার জয়ের দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং একটি করে জয় ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বাংলাদেশের জয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত জয় এসেছে গত বছর, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
তবে এই সব জয়কে ছাড়িয়ে গেলো মিরপুরের এবারের জয়। যা হয়তো শুরু করে দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায়। যে অধ্যায় এখন ভরে উঠার অপেক্ষায় কেবল তামিম-সাকিবদের গৌরবের সব আখ্যানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) ২৬০/১০, তামিম ৭১, সাকিব ৮৪; অ্যাশটন অ্যাগার ৩/৪৬
অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস) ২১৭/১০, ম্যাট রেনশ ৪৫, পিটার হ্যান্ডসকব ৩৩; সাকিব ৫/৬৮
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস) ২২১/১০, তামিম ৭৮, মুশফিক ৪১; লয়ান ৬/৮২
অস্ট্রেলিয়া (দ্বিতীয় ইনিংস) ২৪৪/১০, ওয়ার্নার ১১২, স্টিভ স্মিথ ৩৭; সাকিব ৫/৮৫
ফল বাংলাদেশ ২০ রানে জয়ী।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.