অনলাইন পশুর হাটে জাকজমক আয়োজন

বেশ কয়েক বছর ধরেই কোরবানির ঈদে বাংলাদেশে অনলাইনে গরু-ছাগল বিক্রির চল শুরু হয়েছে। এবারও বিভিন্ন অনলাইন ক্লাসিফাইড সাইট ও ই-কমার্সের পাশাপাশি ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে চলছে কোরবানির পশু বিক্রি। এসব অনলাইন পশুর হাট ক্রেতাদের দিচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা।

অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয় ডট কম, আমার দেশ ই-শপ, বেঙ্গল মিট ও সাশ্রয় এগ্রো প্রভৃতি সাইটে পাওয়া যাচ্ছে কোরবানির পশু। এছাড়া অনেকে ব্যবসায়ী শখের বশেও ফেসবুক পেজ খুলে পশু বিক্রি করছে। এসব ওয়েবসাইটে শুধু পশুর ছবিই নয়, ক্রেতাদের সুবিধার জন্য পশুর বয়স, দাঁতের সংখ্যা, ওজন, চামড়ার রং, জাত, জন্মস্থান এবং প্রাপ্তিস্থানও দেয়া হচ্ছে।

অনলাইন মার্কেটপ্লেস সংশ্লিষ্টরা জানায়, ক্রেতারা চাইলে সামনাসামনি দেখে পশু নির্বাচন করতে পারেন, সে ধরণের সুবিধাও রাখা হয়েছে। ছবি দেখে এবং তথ্য জেনে কেউ পশু কিনতে চাইলে সেই পশু ক্রেতাদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। কিছু ওয়েবসাইট আবার ক্রেতাদের সরাসরি গরু খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। ফলে ক্রেতারা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকেও গরু কেনার সুযোগ পান।

মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার বাসিন্দা রাইসুল ইসলামসহ আরও পাঁচ যুবক ‘ফেসবুকে গরুর হাট’ নামের একটি ফেসবুক পেজ পরিচালনা করেন। রাইসুল ইসলাম বলেন, 'পাঁচ বছর আগে ফেসবুকে গ্রুপটি খুলেছিলাম। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম দিকে শুধু ভালো ভালো গরুর ছবি তুলে পেজে শেয়ার করতাম এবং তাতে লাইক কমেন্ট পেতাম। ২০১৫ সালে আমরা গরু বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেই এবং প্রথম বছরই আমাদের পেজ থেকে ১০০ গরু বিক্রি হয়।'

তিনি বলেন, 'আমারা গরু কেনাবেচা করে পারিশ্রমিক, কমিশন বা লাভের আশা করি না। সম্পূর্ণ শখের বসে এই পেজটি পরিচালনা করছি।'

এদিকে মোহাম্মদপুর এলাকার হাসানসহ ছয় তরুণ ‘গাবতলী কাউ হাট’ নামের ফেসবুক পেজ পরিচালনা করেন। হাসান জানান, ২০১৪ সালে কোরবানি ঈদের ১০ দিন আগে পেজটি খুলে ফেসবুকের মাধ্যমে গরু বিক্রি শুরু করেন তারা। এই পেজের মাধ্যমেই গত বছর ৭৬টি এবং চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০টি গরুর অর্ডার পেয়েছেন তারা।

বিক্রয় ডটকমের পরিচালক (বিপণন) ইয়াসের নূর জানান, সাইটে ভালো মানের পশু আপ করা হয়েছে। তবে ক্রেতারা এখনো গরুর দামের খোঁজখবর নিচ্ছে, তারা গরু কেনা শুরু করেননি। সম্ভবত শেষে মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।