নাথান লায়নকে সমীহ করছেন তামিম

আর মাত্র তিনদিন। এরপরই শেষ হবে ১১ বছরেরও বেশি সময়ের অপেক্ষার। টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ শুরুর আগে আপাতত অনুশীলন নিয়ে ব্যস্ত দুই দল। বুধবার অবশ্য অনুশীলন ছিলো না বাংলাদেশ দলের। এই ফাঁকে একটি নতুন মোটরসাইকেল ব্রান্ডের শুভেচ্ছাদূত হলেন তামিম ইকবাল। এ নিয়ে ঢাকার একটি হোটলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্রিকেট নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। সেখানেই অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়নের প্রতি সমীহ প্রকাশ করেছেন তামিম।

তামিম বলেন, ‘নাথান লায়ন খুব ভালো স্পিনার। আমাদের তাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমরা যদি ভাবি যে, স্পিনিং উইকেট বানাবো আর জিতে যাবো, ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। স্পিনিং উইকেটে ওদের রান করতে যেমন সমস্যা হবে। আমাদেরও একই রকম সমস্যা হবে। আসল কথা হলো, পুরো পাঁচদিন যারা নিজেদের খেলা ঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবে, তাদেরই জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’

ব্যাটসম্যান ডানহাতি বা বাঁহাতি; যেমনই হোক না কেনো নাথান লায়ন সবার জন্যই বড় হুমকি। তামিম বলেন, ‘সে আমাদের জন্য বড় হুমকি। তবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি আগেও বলেছি, আমাদের সব ধরনের পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রস্তুতি অবশ্য সব সময়ই নেয়া থাকে। আমাদের মূল কাজ হবে মাঠে সব ঠিকঠাক করতে পারা।’

মাঠের কাজটা ঠিকভাবে করার জন্য পরিবেশটা বাংলাদেশের পক্ষেই থাকবে বলে বিশ্বাস করেন তামিম। কারণ হোম কন্ডিশনে খেলা; এখানে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বেশি সুবিধা থাকবে বাংলাদেশেরই।

তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমরা কিছুটা হোম অ্যাডভান্টেজ পাবো। তাই বলে মাঠে নেমেই জিতে যাবো, ব্যাপারটা এ রকম নয়। আবার অস্ট্রেলিয়া শক্তিশালী দল বলে আমরা আগেই হেরে বসবো, তাও নয়। আমাদের প্রতিটি সেশনে ভালো খেলতে হবে। অস্ট্রেলিয়া খুব পেশাদার দল। তাদের সঙ্গে ভালো ফল পেতে আমাদের সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে।’

সেরা ক্রিকেট খেলার জন্য তামিম পুরো দলের কাছ থেকেই ভালো পারফর্ম আশা করছেন। নির্দিষ্ট কোনো বিভাগের উপর ভার দিতে চাইছেন না তিনি। বাংলাদশের টেস্ট দলের সহঅধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা থাকবে। সুতরাং স্পিনারেদর ভালো কিছু করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাটসম্যানদেরও তাদের কাজটা ঠিকভাবে করতে হবে, বোলারদেরও এগিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ সব বিভাগের মিলিত পারফর্মই আমাদের সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে।’