‘আগে গোঁফ ছিলো না, এখন আছে!’

‘দুই বছর আগে যখন বাদ পড়েন, তখন এবং এখনকার আপনার মধ্যে পার্থক্য কী?’ সংবাদ সম্মেলনে এমন একটা প্রশ্ন গেলো নাসির হোসেনের কাছে। উত্তরে তিনি বললেন, ‘আগে আমার গোঁফ ছিলো না, আর এখন আছে!’

সংবাদ সম্মেলনে নাসির হোসেনে রসিক হয়ে উঠাটা নিশ্চয় অজানা নয় কারো। দুই বছর পর টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পর তার আরো রসিক হয়ে উঠা স্বাভাবিকই বরং!

গোঁফ না থাকা এবং থাকার পার্থক্যের কথাটা বলে নাসির হেসে উঠলেন নিজেই। এর কিছুক্ষণ আগে নাসিরের কথায় প্রায় অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন সংবাদকর্মীরা।

জ্যেষ্ঠ একজন সংবাদকর্মী নাসির হোসেনকে আপনি সম্বোধন করে প্রশ্ন করছিলেন। তার প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই নাসির বলে ওঠেন, ‘আমি তো আপনার ছেলের বয়সী, আপনি বলছেন কেনো?’ ব্যস, সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনকক্ষ পরিণত হয় ‘কে কতো হাসতে পারে’র কক্ষে!

দুই বছর পর টেস্ট দলে ফেরার আনন্দটা হয়তো এভাবেই উদযাপন করতে চেয়েছিলেন নাসির। তবে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে নয়, নাসির বরং সত্যিকারের উদযাপনটা করতে চান মাঠের ভিতরে।

টেস্ট দলে ফেরার পথে নিজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি জানতাম টেস্টে ফিরতে চাইলে আমাকে পারফর্ম করতে হবে। তাই যখনই যেখানে সুযোগ পেয়েছি, পারফর্ম করার চেষ্টা করেছি।’

পারফর্ম করার এই চ্যালেঞ্জটা অব্যাহত থাকছে জাতীয় দলেও। কারণ নাসির যে পজিশনে খেলেন, ঠিক তার আশপাশেই আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মতো ক্রিকেটাররা। একটু বাজে পারফর্ম মানেই আবার দল থেকে ছিটকে যাওয়া।

নাসির বলেন, ‘আমি হয়তো ছয় বা সাত নম্বরে খেলবো। ওই সময়ে দুজন ব্যাটসম্যান থাকে। বাকিরা থাকে টেলএন্ডার। তো ব্যাটসম্যানরা সঙ্গে থাকলে ইনিংস বড় করার চেষ্টা থাকবে। আর যদি টেলএন্ডারদের নিয়ে খেলতে হয়, তবে দ্রুত রান করার চেষ্টা করবো।’

রসিক এবং সিরিয়াস; দুই বছর পর টেস্ট দলে ফিরে এমন দ্বৈত রূপেই ধরা দিলেন নাসির। তবে তার আসল দ্বৈত রূপটা দেখা যাবে ব্যাট ও বলের আসল যুদ্ধে। যেখানে রসিক নয়, বরং সিরিয়াস নাসিরকেই প্রত্যাশা করছেন তার কোটি সমর্থকরা।