উদ্দেশ্য ছিল ‘ইত্তেহাদী হামলা’, সাইফুলের সাথে ছিল সহযোগীরা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভবন থেকে মাত্র তিনশ গজ দূরে পান্থপথে অবস্থিত হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে একাধিক জঙ্গি ছিল বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেছেন, "নিহত জঙ্গি সাইফুল ইসলামকে ‘ইত্তেহাদী হামলার’ জন্য নিয়োজিত করা হয়েছিল। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন সহযোগী ছিল। ঘটনাস্থলের আশপাশেই তারা অবস্থান করছিল।"

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের (১৫ আগস্ট) দিন সকালে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের চতুর্থ তলায় জঙ্গি বিরোধী অভিযান ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’-এ পুলিশ সাইফুল ইসলামের মৃত দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশের ভাষ্য মতে, অপারেশন চলাকালে সাইফুল (২১) সুইসাইড ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায় সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাটি গ্রামে। নোয়াকাটির মাঠের হাট মসজিদের ইমাম আবুল খায়ের মোল্লার এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে নিহত সাইফুল বড় সন্তান। একটি মেসে থেকে সে খুলনার বিএল কলেজে (রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষ) পড়াশোনা করতো।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘গোয়েন্দারা সাইফুলের সহযোগীদের ধরতে তৎপর রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আমরা জঙ্গি সাইফুলের সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। সে (সাইফুল)  ছিল নব্য জেএমবির নতুন সদস্য। হোটেলের রেজিষ্ট্রি বই থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর পাওয়ায় দ্রুত তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।’

ডিএমপি কমিশনার জানান, নব্য জেএমবি ও আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেকটাই কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে এখন আর বড় কোনো জঙ্গি হামলার ঝুঁকি নেই। ফলে বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটানোর শক্তি এদের নেই । তবে তারা বিচ্ছিন্ন দু-একটি হামলা চালাতে পারে।