অবশেষে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানালেন নওয়াজ শরীফ

পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের প্রধান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে সম্প্রতি দেশটির আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আপত্তি জানিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন নওয়াজ শরীফ। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নওয়াজ শরিফ আদালতের দেয়া ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা হারিসের মাধ্যমে তিনটি পিটিশন দায়ের করেছেন। 

গত ২৮ জুলাই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুসারে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করে রায় প্রদান করেন। নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির মাধ্যমে নির্বাচনী ঘোষণাপত্রে তার প্রকৃত সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। আদালত নওয়াজকে অযোগ্য হিসেবে রায় দেয়ার পরপরই তিনি পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।

নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করা কেন সঠিক নয় এমন প্রশ্নে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছেন নওয়াজের আইনজীবী। রিভিউ পিটিশনে ওই রায় যে সঠিক নয়, তার পক্ষে ১৯টি কারণ তুলে ধরা হয়েছে। একই সাথে রিভিউ পিটিশনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গত ২৮ জুলাই নওয়াজকে অযোগ্য ঘোষণা করে আদালত যে রায় দিয়েছে তা স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।

তবে আইন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নওয়াজের রিভিউ পিটিশনে তেমন কোন ফল আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ আদালতের যে বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছে, সেই একই বেঞ্চের রিভিউ পিটিশনের শুনানিতে অংশ নেওয়ার কথা। ফলে ওই একই বেঞ্চের বিচারকরা তাদের দেয়া আগের রায় পরিবর্তন করবে বলে হচ্ছে না।

আদালতের রায়ের পরপরই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালেও নওয়াজ শরীফ গত কয়েকদিন ধরে নানা সভা-সমাবেশে আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তিনি দাবি করে আসছেন, গত সাড়ে তিন বছর ধরে তার বিরুদ্ধে হওয়া ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তাকে আদালতের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন এনেছেন এবং সন্ত্রাসবাদ থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করার যে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তা সহ্য করতে না পেরেই তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এমন বক্তব্য দেয়ার পর রিভিউ পিটিশন দায়ের করার মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি আদালতে ওই রায়কে আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যালেঞ্জ জানালেন।