কাতারে ভিসামুক্ত সফর সুবিধা পাবে ৮০ দেশ, বাংলাদেশ কি থাকবে?

৮০টি দেশকে ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা দিবে কাতার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোটের অবরোধ আরোপের ফলে দেশটির অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতেই এ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে কাতার সরকার।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তা হাসান আল-ইব্রাহিম এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এ কর্মসূচি দেশটির বিমান পরিবহন ও পর্যটনকে চাঙ্গা করবে। ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে কাতার এ অঞ্চলে হতে যাচ্ছে সবচেয়ে উন্মুক্ত দেশ।’

এখনো ওই ৮০টি দেশের নাম ঘোষণা করা হয়নি এবং কবে থেকে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা চালু হবে তাও নির্দিষ্ট করে বলেনি কাতার সরকার। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ‘এ কর্মসূচি প্রধানত পশ্চিমা দেশগুলো এবং অন্য কয়েকটি দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে।’

 কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুহাম্মাদ রাশেদ আল-মাজরুই’র বরাত দিয়ে কাতারের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘পারস্য উপসাগরের এ দেশটিতে ঢোকার জন্য ৮০টি দেশের নাগরিকদের শুধুমাত্র বৈধ পাসপোর্ট থাকলেই চলবে। কোন ভিসা লাগবে না। এ ৮০টি দেশকে তাদের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় অথবা তাদের নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতার দিক বিবেচনা করে মনোনীত করা হবে।'

যে সব দেশের নাগরিকদের ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ দেয়া হবে তাদেরকে কাতারের ভিসার জন্য আবেদন করা লাগবে না কিংবা কোনো রকমের অর্থও পরিশোধ করতে হবে না। তবে, বৈধ পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। আর তাহলে বিমানবন্দর থেকে বিনামূল্যে মাল্টি-এন্ট্রি সুবিধা ইস্যু করা হবে এবং সেইসঙ্গে রিটার্ন টিকেট থাকতে হবে।

তিনি জানান, ৮০টি দেশের মধ্যে ৩৩টি দেশ এ সুবিধার আওতায় ছয় মাস (১৮০দিন) কাতারে অবস্থান করতে পারবে। অন্য ৪৭টি দেশের নাগরিকরা এক মাস (৩০ দিন) অবস্থানের সুযোগ পাবেন। তবে মাত্র একবারের জন্য এ সময় বাড়ানো যাবে।

গত ৩ আগস্ট কাতার সরকার নির্দিষ্ট কয়েক শ্রেণির বিদেশির জন্য স্থায়ী নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন এ কর্মসূচির আওতায় কাতারি মা ও বিদেশি বাবার সন্তান কাতারের নাগরিকত্ব পাবে। এ ছাড়া কাতার লাভবান হতে পারে এমন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে কাতার নাগরিকত্ব দেবে। নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তিরা কাতারের স্থানীয় নাগরিকদের মতোই সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাবেন।

কাতারের ২৪ লাখ মানুষের বসবাস করছে। যার মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশি। গত ৫ জুন কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর। দেশগুলো তাদের দেয়া সব শর্ত মেনে না নেয়া পর্যন্ত অবরোধ তুলে নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তবে কাতার বলেছে, ‘কারো অন্যায় দাবির মুখে কাতার আত্মসমর্পণ করবে না।’

কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান আকবর আল-বাকের বলেছেন, এ কর্মসূচির কারণে প্রাথমিকভাবেই কাতারের বিমান কোম্পানি লাভবান হবে। কাতার এয়ারওয়েজ আরো ৬২টি নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা নিচ্ছে।