ওয়ার্নারের অধীর অপেক্ষায় মোস্তাফিজ!

ক্রিকেট মাঠে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের লড়াই সচরাচর দেখা যায় না। দুই দেশের ক্রিকেটার মধ্যেই তাই হৃদ্যতার খবর পাওয়া যায় না তেমন। কিন্তু ব্যাপারটা যখন ডেভিড ওয়ার্নার ও মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে, তখন কিন্তু আপনি অনেক হৃদ্যতার দেখা পাবেন।

এই যেমন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে চট্টগ্রাম পর্বের অনুশীলনের জন্য যাওয়ার টুইট করলেন মোস্তাফিজ। বললেন যে, সাতদিনের প্রস্তুতির জন্য যাচ্ছেন বন্দরনগরীতে।

মোস্তাফিজের টুইট রিটুইট করে শুভ কামনা জানিয়ে দেন ওয়ার্নার। বললেন, ‘শুভ কামনা চ্যাম্পিয়ন, শিগগিরই দেখা হচ্ছে।’

{loadtweets}url=893403866468831232{/loadtweets}

পরে মোস্তাফিজ আবার জবাব দিলেন ওয়ার্নারকে। বললেন, ‘অধীর আগ্রহ নিয়ে আপনার বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় আছি। নিরাপদ থাকুন এবং দ্রুত চলে আসুন।’

{loadtweets}url=893405816006430722{/loadtweets}

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার এই দুই ক্রিকেটারের হৃদ্যতার এমন উদাহরণ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের জন্যই আনন্দের ব্যাপার। তাদের হৃদ্যতা এতোটাই বেশি যে, মোস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলা শেখারও উদ্যোগ নিয়েছিলেন ওয়ার্নার!

{loadtweets}url=893477244135391233{/loadtweets}

এই আনন্দের শুরুটা ২০১৬ সালের আইপিএল দিয়ে। আইপিএলের এই আসর দিয়েই বিদেশি লিগে খেলা শুরু করেন মোস্তাফিজ। তার দল ছিলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলটির অধিনায়ক ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার।

২০১৬ সালের আইপিএলের শিরোপা ঘরে তুলে হায়দরাবাদ। তাদের এই কীর্তিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজ। প্রতিটি ম্যাচেই বিপদের সময় তার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। মোস্তাফিজের প্রতি তার একটু বেশি ভালোবাসা তাই খুবই স্বাভাবিক।

এ দিকে, এবারের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মোস্তাফিজের উপর থাকবে বাড়তি নজর। ইনজুরি থেকে ফেরার পর এখনো তেমন সুবিধা করতে পারেননি এই পেসার। তবে এবার যেহেতু প্রস্তুতি খুব ভালো, তাই তার কাছে চাওয়াটাও থাকবে বেশি।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলো ২০০৬ সালে। অর্থাৎ দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসছে অসিরা। বাংলাদেশ চাইছে, যে কোনো মূল্যে এই সিরিজ স্বরণীয় করে রাখতে। এই চাওয়া পূরণে মোস্তাফিজের রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।