জীবনের লড়াইয়ে ফিরলেন খালেদ মাহমুদ সুজন

মানব জীবন মানেই এক যুদ্ধক্ষেত্র। যেখানে প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় আমাদের। এই লড়াইয়ে হেরে গিয়ে একদিন প্রাণ পাখিটি উড়ে যায়, পরে থাকে মানবদেহ। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের এক সময়ের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনকে অজ্ঞান অবস্থায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। তবে জ্ঞান ফিরে জীবন যুদ্ধেও সাড়া দিচ্ছেন লড়াকু এই ক্রিকেটার।

জানা গেছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার রাতে যখন সুজনকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছিল তখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায় কিছুটা সাড়া দিয়েছিলেন তিনি। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুরের গ্লেনিয়াগ্লেস হাসপাতালের আইসিইউতে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করানো হয় তাকে। আইসিইউতেও সাড়া দিচ্ছেন প্রিয় সুজন ভাই। অল্প সময়ের জন্য বড় ভাইয়ের সঙ্গে নাকি কথাও বলেছেন তিনি। এক পর্যায়ে কেঁদেও ফেলেন তিনি।

সিঙ্গাপুরে খালেদ মাহমুদের সঙ্গে আছে বিসিবির চিকিৎসক মনিরুল আমিন। আজ মঙ্গলবার তার বরাত দিয়ে বিসিবি বলছে, সাবেক এই অধিনায়কের অবস্থা স্থিতিশীল। আগামীকাল বুধবার সকালে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বাংলাদেশ থেকে তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তিনি বলেন, 'আশা করছি দুই-তিনদিনের মধ্যেই একদম সুস্থ হয়ে উঠবেন সুজন। আমি শুনেছি ইতোমধ্যে তার মুখে লাগানো দুটি পাইপের একটি খুলে ফেলা হয়েছে। শারীরিক অবস্থান উন্নতি হচ্ছে। আমরা আশাবাদী।

গতকাল সোমবার রাত ১২ টার দিকে সুজনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান তিনি। 

শনিবার রাতে অসুস্থবোধ করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। পরে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। অবস্থা খারাপ হলে রোববার সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো। জানা গেছে, ৪৬ বছর বয়সী জনপ্রিয় এই ক্রিকেটার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগে দীর্ঘদিন থেকে ভুগছেন।