সাকিব: সিপিএলের মজাটাই অন্য রকম

সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল)। ২০১৩ সালের আগস্টে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ত্রিনবাগো নাইটরাইডার্সের বিপক্ষে ছয় রান দিয়ে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। কে জানে, হয়তো এ কারণেই সিপিএল খেলতেই বেশি মজা পান সাকিব!

আরো একবার সিপিএল খেলতে আজকালের মধ্যেই দেশ ছাড়ছেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার। সিপিএলে গত আসরে জ্যামাইকা তালাওয়াহসে খেলেছিলেন সাকিব। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তার দলই। চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখার লক্ষ্যে যাওয়ার আগে রোববার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব বললেন যে, সিপিএলের মজাটা তার কাছে অন্য রকম।

সাকিব যখন বলছেন মজাটা অন্য রকম, তখন কথাটা স্রেফ কথার কথা হতে পারে না। কারণ বিশ্বের যে কজন ক্রিকেটার দেশ থেকে দেশে ঘুরে ঘুরে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে বেড়ান, সাকিব তো তাদেরই অন্যতম। সুতরাং তার মূল্যায়নটা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।

সাকিব বলেন, ‘সিপিএলের মজাটা অন্য রকম। সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি অন্য যে কোনো লিগের তুলনায় একদম অন্য রকম থাকে। খেলা নিয়ে যতো চিন্তা তা কেবল মাঠে; মাঠের বাইরে সবাই রিল্যাক্স থাকতে পছন্দ করে। খেলা নিয়ে মাঠের বাইরে তেমন কিছু করতে হয় না। এ কারণেই সিপিএলটা বেশি উপভোগ্য।’

সিপিএল সাকিবের কাছে বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠার আরো একটা কারণ হতে পারে, সেখানে একাদশে থাকা নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় না তাকে। যেটা আইপিএলে হয়। সাকিব বলেন, ‘আইপিএলের ব্যাপারটা অন্য রকম। এখানে প্রতিটি দল ১০-১২ জন করে বিদেশি খেলোয়াড় নেয়। কোন চারজন খেলবে, তা কখনোই নিশ্চিত থাকে না। দেখা যায়, এক ম্যাচে ভালো খেলেও কেউ পরের ম্যাচে জায়গা পাচ্ছে না। এটা হয় কম্বিনেশনের কারণে।’

তিনি বলেন, ‘তবে সিপিএলের ব্যাপারটা এমন নয়। সেখানে কোন চারজন খেলবে, এটা মোটামুটি ফিক্সড করাই থাকে। একান্ত প্রয়োজন না হলে খুব বেশি পরিবর্তন আসে না।’

সাকিবের মতো এবার সিপিএল খেলছেন বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মেহেদি হাসান মিরাজ। তার দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। আপাতত পাঁচটি ম্যাচ খেলতে গিয়েছেন তিনি। সাকিব জানালেন, এবার আরো বেশি বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সুযোগ ছিলো সিপিএল খেলার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কারণে বাংলাদেশিদের পুরো আসরের জন্য পাওয়া যাবে না বলে, সিপিএলের দলগুলো আগ্রহী হয়নি।

সাকিব বলেন, ‘এবার কিন্তু আরো দুই তিনজনের সুযোগ হতে পারতো। তাদেরকে নিয়ে কয়েকটা দল কথাবার্তাও শুরু করেছিলো। কিন্তু পুরো আসরের জন্য পাওয়া যাবে না বলে সুযোগ আসেনি। আসলে আমাদের খেলার সূচিটা নিশ্চিত নয় বলেই এমন হয়েছে।’

মেহেদির মতো সাকিবও এবারের সিপিএলে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারছেন না। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য দেশে ফিরে আসতে হবে তাকেও। সাকিব আশা করছেন অস্ট্রেলিয়া যথা সময়েই বাংলাদেশ সফরে আসবে। যদিও অস্ট্রেলিয়ান বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের বিরোধের বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়।

সাকিব যে ম্যাচে ছয় রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন