প্রধানমন্ত্রী: দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানির আওতায়

বাংলাদেশে ৯৮ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানির আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢাকা পানি সম্মেলন-২০১৭ -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বে নিরাপদ পানির সহজলভ্যতা দিন দিন সংকুচিত হলেও বাংলাদেশে এই চিত্র ব্যতিক্রম। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকলের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া নগরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আমূল পাল্টে দেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চার বছরের মধ্যে ভূগর্ভস্ত পানি তুলে সরবরাহ বন্ধ করা হবে। ভূ-উপরিস্থ পানিই শতভাগ ব্যবহার করা হবে।

শতকরা ৯৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাষণ সুবিধার আওতায় এসেছে উল্লেখ করে এসডিজির নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ২০৩০ সালের আগেই সরকার শতভাগ মানুষকে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায় বলেও তিনি জানান।

তিনি জানান, পানি সম্পদের সমন্বিত ব্যবহারের জন্য ১০০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরাতন খালগুলো সংস্কারের পাশাপাশি জলাধার সংরক্ষণের উদ্যোগ এবং নতুন করে খাল খনন শুরু করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারের সাফল্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লবণাক্ত পানিপ্রবণ এলাকায় পুকুরের পানি ফিল্টার করে লবণাক্ততামুক্ত করা হয়েছে। সাত হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে। তাছাড়া গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে ৩২ হাজার ৬০০টি। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ৩২ হাজার চারশটি জলাধার সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্ষার পানি সংরক্ষণ করে ৪ হাজার ৭'০০টি জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে।

পানি দূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী শিল্প বর্জ্যে দূষিত হয়ে যাওয়ায় দূষণ দূরীকরণের পাশাপাশি পদ্মা ও যমুনা নদী থেকে পানি এনে তা রাজধানীতে সরবরাহের কাজ এগিয়ে চলেছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী পানির সুষম ব্যবহার, বণ্টন ও অপচয়রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও ডেল্টা কোয়ালিশনভুক্ত অঞ্চলের ২৭টি দেশ এবারের এ পানি সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পানি বিষয়ে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং সহযোগিতার হাতকে আরও শক্তিশালী করা।