নখের কোণা বাঁকা হলে যা করণীয়

নখ কাটার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কি? অদ্ভুত প্রশ্নে ভরকে গেলেন তো? নখ বড় হলে কেটে দেয়ার পরেই আবার নখ বড় হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই যদি এই স্বাভাবিক ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটে তবে কী হবে বলুন তো? 

কাটা নখ সোজাসুজি না বেড়ে বাকা হয়ে চামড়ার মাংসে গেথে গেলে আঙ্গুল ফুলে লাল হয়ে থাকে আবার প্রচণ্ড ব্যথাও হয়। এই পেইনফুল প্রক্রিয়াটি ঘটে আমাদের ভুলেই। কারণ, অনেকেই নখ কাটার সময় বেশি করে নখের কোণা কেটে দেন। তখন নখ বড় হওয়ার সময় বাকা হয়ে উঠে। এ ছাড়া আঁটসাঁট মোজা, পায়ের আকারের চেয়ে ছোট জুতা পড়ার কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকে শুধু নখের মাঝের অংশটুকু কাটেন। যার ফলে নখের দুই সাইডের কোণা বড় হয়ে চামড়ায় ঢুকেও এই সমস্যা হতে পারে।

যাদের হাত পা খুব ঘামে তাদেরও এ সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ঘামের ফলে নখের পাশের চামড়া নরম হয়েও ফুলে যায়। ফলে নখ বাকা হয়। আবার অনেক সময় কোন আঘাত বা জন্মগত কারণেও এরকম হতে পারে।

সমস্যা থাকলে তার সমাধানও থাকবে তাই না?

আপনার নখের কোণা কাটার অভ্যাস আছে আবার মাঝেমাঝেই এই সমস্যায় ভুগেন। এই সমস্যা থেকে বের হতে আপনার অভ্যাস পরিবর্তন করুন। সোজাভাবে নখ কাটার চেষ্টা করুন। আর যদি নখের কোণা কাটতেই হয় তাহলে নখ বড় হয়ে চামড়ায় ঢুকার আগেই আবার কেটে ফেলুন।

ছোট বা বড় নয়, অবশ্যই সঠিক মাপের জুতা পরুন। আর খুব আঁটসাঁট মোজা পরবেন না কখনোই এবং পরিস্কার মোজা পরুন।

পা ঘামার সমস্যা থাকলে কিছু ঘরোয়া টোটকাতে পা ঘামা দূর করতে পারেন। যেমন: লেবুর রস বা ভিনেগার মিশ্রিত কুসুম গরম পানিতে মিনিট বিশেক পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। আবার, তেঁতুলের রস বা শুধু লবণ মেশানো গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখলেও পায়ের অতিরিক্ত ঘাম দূর হয়।

সময় পেলে বানিয়ে নিতে পারেন এক ধরণের পায়ের পাতার ম্যাসেজ প্যাক। পরিমাণ মতো পানিতে তিন-চার টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে পায়ের পাতায় ম্যাসাজ করুন মিনিট চারেক। এভাবেই রেখে দিন কিছুক্ষণ। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানিতে পা পরিষ্কার করে নিন। খুব বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান। সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন।