মস্তিষ্কের এই ব্যাপারগুলো আপনাকে অবাক করে দিবে

আপনার সফলতার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা আপনার মস্তিষ্কের। কিন্তু মানুষ এখনো জানতে পারেনি মস্তিষ্ক ঠিক কিভাবে কাজ করে। মেডিকেল সায়েন্সের এত উন্নতির পরেও মানব মস্তিস্কের অনেক রহস্যই অজানা। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় এমন কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে যা আপনি জানলে অবাক হবেন।

মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে জেনে নিলে এর সঠিক ব্যবহার করা সম্ভব। হ্যাঁ, এতে করে অনেক কাজই সহজ হয়ে যায়। তাই আসুন আজকে জেনে নেই আমাদের মস্তিষ্কের অজানা কয়েকটি তথ্য।

মানব মস্তিষ্ক বাস্তব ও কল্পনার মাঝে কোন বিভাজন করতে পারে না ফলে সমান প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই কারণেই অনেকে যেমন যা আছে তাই নিয়ে সুখী, বিপরিতে অনেকেই সব পেয়েও সুখী নন। এই বোধ নির্ভর করে আপনি নিজেকে সুখী ভাবছেন কিনা তার উপর।

শুনে অবাক হবেন, মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে একদমই ক্লান্ত করে না। অথচ আমরা এমনই ভাবি। মস্তিষ্কের কাজ চলার সময় সেখানে রক্ত চলাচল অপরিবর্তিত থাকে। ক্লান্তির ব্যাপারটি শুধুমাত্রই আমাদের অনুভূতি। শুধুমাত্র শারীরিক পরিশ্রমই মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়।

আমাদের মস্তিষ্ক স্বনির্ভর। নিজে নিজেই কাজ করতে পারে। এমন কি আপনি যা নিয়ে চিন্তা করছেন তার বেশিরভাগই আপনার জীবনে আগেই ঘটে গেছে। আর এই কারণেই হতাশাবাদীরা তাদের জীবন নিয়ে ধারণা সহজে বদলাতে পারে না। তখন মস্তিষ্ক নিজেই নেতিবাচক ভাবনা তৈরি করে দেয়।

আপনার চিন্তাই আপনার অভিজ্ঞতা। এই কারণেই প্রেমে পড়লে মানুষ তার আশেপাশের মানুষের মাঝে তার প্রিয় মানুষকে খুঁজে ফিরেন। অথবা কোথাও বেড়াতে যাবার কথা হলেই সব কিছুতেই সেই জায়গার কথা মনে পড়বে।

শরীরের অন্য পেশীগুলোর মতই মস্তিষ্কের প্রশিক্ষণ সম্ভব। যেমন— নতুন কিছু শেখা, শারীরিক পরিশ্রম, সময়মত খাওয়া, ঘুম, বেড়ানো বা পাজল জাতীয় গেমস আপনার মস্তিষ্কের ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।

আমরা মনে করি ঘুমের সময় মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেয়। আমাদের এই ধারণাটা ভুল। মস্তিষ্কের কাজ ঘাটলে দেখা যায় ঘুমন্ত মানুষের মস্তিষ্ক জেগে থাকা মানুষের মস্তিষ্ক থেকে বেশি কাজ করে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ননস্টপ কাজ করে যেতে পারে আমাদের মস্তিষ্ক।

আমাদের জীবনের সব কষ্ট থেকে সরিয়ে বিরতি নেয়াটা খুবই জরুরি। যদিও মস্তিষ্কের বিশ্রাম দরকার নেই তবু কিছু সময় 'না পাওয়ার' হতাশাগুলো দূর করে না দিলে জীবন আরো কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বেড়িয়ে আসুন দূরে কোথাও। কষ্টের স্মৃতিগুলো ভুলে যান। সব কিছু মনে রাখতে হবে এমন কোন কথা তো নেই। মস্তিষ্ক নিজে নিজে ঠিক করে কোন স্মৃতি ভুলে যাবে আর কোনটি মনে রাখবে। তাই ভাল সুখের স্মৃতিগুলো মনে করার চেষ্টা করুন। বাকি কাজ সেই করবে।

আমাদের মস্তিষ্ক নিজে কোন ব্যাথা অনুভব করে না কিন্তু ব্যাথায় প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবে এর আশেপাশের রক্ত কোষ, নার্ভ, টিস্যু ব্যাথা অনুভব করতে পারে।

মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আমাদের নিজেদের হাতেই। আপনি যদি মনে করেন আপনি পারবেন না, তবে আপনি কোন দিনই কিছু করতে পারবেন না। আর যদি বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যান আপনি পারবেন, তবে কেউ আপনাকে রুখতে পারবে না।