আইজিপি: অপহরণ নয়, স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন ফরহাদ মজহার

অপহৃত হননি ফরহাদ মজহার। বরং তিনি স্বেচ্ছায় বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। ফরহাদ মজহারের অপহরণ বিষয়ে পুলিশের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে এ সব কথা বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

বৃহস্পতিবার পুলিশের সদর দপ্তরে শহীদুল দাবি করেন যে, ফরহাদ মজহার অপহৃত হননি। তিনি জানান, তদন্তে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তাদের ‘মনে হয়েছে’ যে, ফরহাদ মজহার স্বেচ্ছায় বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।

চলতি মাসের তিন তারিখে শ্যামলীতে নিজের বাসার কাছ থেকে অপহৃত হন ফরহাদ। সেদিন রাতেই উদ্ধার হন তিনি। পরে ঢাকা ফিরে অপহৃত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এর আগেই, তাকে উদ্ধারের পরপর পুলিশের খুলনা রেঞ্চের উপ মহাপরিদর্শক দিদার আহমেদ কোনো রকম তদন্তের আগেই ফরহাদের অপহরণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি তখন অপহরণের ঘটনাকে ‘নাটক’ বলে অভিহিত করেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে ফরহাদ মজহারের ঘটনা অপহরণ নয় বলে দাবি করা হলেও, এ বিষয়ে ফরহাদ মজহার বা তার আইনজীবীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফরহাদ মজহার অবশ্য বিদেশি একটি সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন যে, তিনি অপহরণের শিকার হয়েছিলেন।

এ দিকে, পুলিশ তদন্তের এক পর্যায়ে অর্চনা রানী নামের ২৮ বছর বয়সী এক নারীর জবানবন্দি নিয়েছে। জবানবন্দীতে ওই নারী দাবি করেন যে, ফরহাদ মজহার তাকে আর্থিক সহায়তা দিতেন। যেদিন অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, সে দিন তার জন্য টাকা জোগাড় করতেই ফরহাদ বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।

আইজিপি শহীদুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ফরহাদ তার জবানবন্দিতে যে কথা বলেছেন, তার সঙ্গে তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্যে কোনো মিল নেই। বরং অর্চনা রানী যে সব তথ্য দিয়েছেন, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে সে সবেরই সত্যতা।

আইজিপি জানান, ঘটনার দিন ফরহাদ মজহার ১০ বার তার স্ত্রীর সঙ্গে এবং ছয়বার অর্চনা রানীর সঙ্গে কথা বলেন। পরে সেই সূত্র ধরেই পুলিশ অর্চনা রানীকে চিহ্নিত করে এবং তার জবানবন্দি রেকর্ড করে।

আইজিপি শহীদুল হক আরো জানান, ঘটনার দিন ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোনের অবস্থান শনাক্ত রাস্তায় মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, উনি বাসে করে খুলনা গিয়েছিলেন, কারণ মাইক্রোবাসে তাকে পাওয়া যায়নি।’