কাতার: সৌদির সামরিক আগ্রাসনকে ডরাই না

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি মন্তব্য করেছেন, সৌদি আরবের সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসনে ভয় পায় না কাতার। সমঝোতার জন্য কাতারকে দেওয়া ১৩ শর্ত মানার জন্য আজ আরও দুইদিন সময়সীমা বাড়িয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলো। তার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন মন্তব্য করলেন কাতার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোববার রোমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন কথা বলেছেন ইতালি সফররত আবদুলরহমান আল থানি। কাতারকে আরব দেশগুলোর ১৩ শর্ত দেওয়ার বিষয়টি অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘কাতারের উপর সামরিক আগ্রাসন হবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগ তুলে গত মাসে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরবের নেতৃত্বে মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। কাতারের সঙ্গে স্থল, জল ও আকাশ পথের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আরব দেশগুলো।

সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য কাতারকে ১৩টি শর্ত মেনে নেওয়ার জন্য পরে ১০ দিনের সময় দেয় আরব দেশগুলো। রোববার সেই দশদিন পেরিয়ে যাবার পর সময়সীমা আরও দুইদিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে কাতার আগে থেকেই বলে আসছে ১৩ শর্ত মানতে রাজি নয় তারা। কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি বলেছিলেন, ‘আরব দেশগুলোর এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করা হলো। এভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা নয়, বরং কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তাক্ষেপ করা।’

এই শর্তগুলো কাতারের বাক স্বাধীনতা স্তব্ধ করে দেওয়া এবং কাতারের কর্মকাণ্ডের উপর নজরদারি করা বলেছিলেন আবদুলরহমান আল থানি। শর্ত মানা নয়, আরব দেশগুলোর সাথে উদ্বেগের ব্যাপারে আলোচনায় বসতে কাতার রাজি আছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।