আইপিলের বিকল্প আনছে এসেল গ্রুপ!

২০০৭ সালে বিশ্ব ক্রিকেট তোলপাড় করে দেওয়া এসেল গ্রুপ আবার আলোচনায়। ভারতীয় এই শিল্প প্রতিষ্ঠান আবারও ‘বিদ্রোহী’ ক্রিকেট আয়োজনে তৎপরতা শুরু করেছে। কদিন আগে তাদের বিকল্প ‘আইসিসি’ তোলার খবর প্রকাশ হয়। এরপর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আইপিএলের মতো টোয়েন্টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

এ খবরে স্বাভাবিকভাবেই বিচলিত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতীয় মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত খবরে তা-ই বলা হচ্ছে। এমনকি আইপিএলের ভবিষ্যত নিয়েও শঙ্কার খবর ছড়িয়েছে দুই একটি মাধ্যমে।

জানা গেছে, এসেল গ্রুপের কর্ণধার সুভাষ চন্দ্র এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের এই লিগের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটার মাইকেল ক্লার্ক ও ডেভিড ওয়ার্নারকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবও নাকি দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব দেওয়া নিউজিল্যান্ডের একাধিক ক্রিকেটারকেও। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট উভয় পক্ষই এই খবরের সত্যতা উড়িয়ে দিয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে ক্রিকেট খবরে এসেল গ্রুপ শিরোনাম হয়ে আসার পর অনেকটা নিশ্চুপ ছিলো তারা। এর মধ্যে এ বিষয়ে কথা বলেছেন লোলিত মোদিও। তার হাত ধরেই শুরু হয় আইপিএল। ক্রিকেট-ব্যবসাটা ভালো বোঝেন বলে তাকেও দলে নিতে চেয়েছিলো এসেল গ্রুপ। এমনকি লোলিত এসেল গ্রুপের পরিকল্পনাও শুনেছেন। কিন্তু তাদের সাথে হাত মেলাননি।

নিজে না গেলেও লোলিত আইসিসিকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, সুভাষ চন্দ্রের মাথা থেকে যে ধারণা এসেছে তা বাস্তবায়িত হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ তার প্রচুর টাকা আছে।

এ দিকে খেলোয়াড়দের নতুন লিগের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আইসিএলের বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থাও নিয়েছে এসেল গ্রুপ। জানা গেছে সম্প্রতি মুম্বাই কোর্টে ১২ জন ক্রিকেটারকে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার বকেয়া পরিশোধ করেছে তারা।

আইপিএলের বিকল্প লিগ আয়োজনের পথে অনেক বাধাও মোকাবেলা করতে হচ্ছে এসেল গ্রুপকে। প্রথমত বিসিসিআইয়ের হুমকি উপেক্ষা করতে হবে তাদের। এরপর খেলোয়াড়দের কাছে বিশ্বস্ত হওয়ার ব্যাপারও থাকছে। ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় খেলোয়াড়রা এসেল গ্রুপের আয়োজনে ভরসা করতে পারছেন না। এই বাধাটা দূর করার জন্য পদক্ষেপও নিয়েছে এসেল গ্রুপ। তারা ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার মাধ্যমে আর্থিক বিষয়ে খেলোয়াড়দের সন্দেহ দূর করার চেষ্টা করবে বলে জানা গেছে।

সব মিলিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে পালা বদলের যে চেষ্টাটা ২০০৭ সালে সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি, সেই চেষ্টাটা আবার আলোতে এসে দারুণ আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এসেল গ্রুপ যদি এই প্রচেষ্টায় সফল হয়, সে ক্ষেত্রে বদলে যেতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রাজনীতির রূপরেখাও।

আপনি আরো পড়তে পারেন

৫৫০ রানের ‘অসম্ভবে’র পথে বাংলাদেশ

তামিমের নতুন অর্জন