পাকিস্তানের ত্রাণ কেউ খাচ্ছে না নেপালে

৭.৯ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর নেপালে এখন মানবিক দুর্যোগ চলছে। প্রায় ছয় হাজারেরও বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ছাড়াও দেশটিতে এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। নেপালের শহর-গ্রামজুড়ে এখন সারি সারি তাঁবু। আর তাবুর ভেতরে-বাইরে লাখ লাখ ক্ষুধার্ত মুখ। খাবারের চরম অভাব।

এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ থেকেই ত্রাণ এসেছে নেপালের ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য। ত্রাণ পাঠিয়েছে পাকিস্তানও। কিন্তু পাকিস্তানের ত্রাণ ছুঁয়েও দেখে নি নেপালের মানুষ।

নেপাল পৃথিবীর একমাত্র ঘোষিত হিন্দু রাষ্ট্র। দেশটিতে গরুর মাংস অনেক আগে থেকেই নিষিদ্ধ। আন্তর্জাতিক বিশ্বও সেটা জানে। এরপরও নেপালে পাঠানো ত্রাণ হিসেবে বস্তা ভরা গরুর মাংস পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এ নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে নেপালে। কূটনৈতিকভাবেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

নেপাল সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার কাঠমান্ডুর বীর হাসপাতালে পাকিস্তান থেকে ত্রাণ এসে পৌঁছায়। কিন্তু ত্রাণের প্যাকেট খুলে দেখা যায় খাবার হিসেবে গো-মাংসের কাবাব পাঠানো হয়েছে। তাই নেপালের মানুষ এই প্যাকেট ছুঁয়েও দেখে নি।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হবে। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলে আমরা কূটনৈতিক মহলে এর প্রতিবাদ জানাবো।

এদিকে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম এই খবরকে 'গুজব ও প্রোপাগান্ডা' হিসেবে অভিহিত করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাসনিম আসলাম বলেন, নেপালে কোনো গরুর মাংস পাঠানো হয় নি।

উল্লেখ্য, হিন্দু রাষ্ট্র নেপালে গরু জবাই ও গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ। রাজতন্ত্রের অধীনে থাকার সময় দেশটিতে গোমাংস ভক্ষণ ও গো-নিধনের শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড ও অভিযুক্তের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ। এরপর ১৯৯০ সালে ওই আইনের শাস্তি কমিয়ে ১২ বছরের কারাভোগে নামিয়ে আনা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

নেপালেও সেলফি!

পেট থেকে বেরিয়ে এলো গহনা

ভূমিকম্পে তিন মিটার সরেছে কাঠমান্ডু