রাত থাকবে না জার্মানিতে, বৃহত্তম কৃত্রিম সূর্য তৈরির দাবি তাদের!

মানুষকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবন উপহার দিতে বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবনের পথে বহুদূর লক্ষ্য নিয়ে হেঁটে চলেছেন। তাঁদের মেধা, ধৈর্য্য ও পরিশ্রমে রাতের অন্ধকারকে অকেজো রাখার দিন পেরিয়ে গেছে সেই কবে! আজ চারপাশে যা কিছু আমরা দেখি, তার অধিকাংশই একদিন ধারণার বাইরে ছিল। তবে বিজ্ঞানীদের দূরদর্শনের সুফলে আজ আমরা আধুনিক মানুষ। আর এবার প্রকৃতি ও প্রাণের কল্যাণে জার্মানির বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম সূর্য। পশ্চিম জার্মানিতে নিয়মিত সূর্যের আলো পড়ে না। উদ্ভাবকরা আশা করছেন, কৃত্রিম সূর্যের আলোতে সেখানে আর রাতই থাকবে না! 

পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রতিদিন সূর্যের আলো পৌঁছায় না। কিন্তু সমগ্র জীবজগতের জন্য সূর্যের আলো ও তাপ অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু সকল শক্তির মূল উৎস এই সূর্যের দেখা না পাওয়ায় বিপদে পড়তে হয় নানা অঞ্চলের মানুষকে। এই সংকট দূর করতেই জার্মানির বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে এমন এক কৃত্রিম সূর্য যা সত্যিকারের সূর্যের চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী আলো উৎপাদন করতে সক্ষম।

জার্মানির ইন্সটিটিউট অব সোলার রিসার্চের প্রধান ড. কাই উইগহার্টের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী কৃত্রিম সূর্য উদ্ভাবনের এই কাজ করেছেন। তিনি বলেন, 'এই সূর্যের মাধ্যমে আমরা নিরবিচ্ছিন্ন আলো পাবো। পশ্চিম জার্মানির মতো যেসব দেশে নিয়মিত সূর্যের আলো পৌঁছায় না, সেখানে এই কৃত্রিম সূর্যের আলো বেশ কার্যকরী হবে।'

তিনি বলেন, 'মোট ১৪৯ টি ফিল্ম প্রজেকশন লাইটের সমন্বিত আলো এই কৃত্রিম সূর্যে কাজ করবে। এই আলো প্রতিদিন সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে যে পরিমাণ আলো ছড়ায় তার চেয়ে দশ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। এটিকে একটি সোলার হাইড্রোজেন রিঅ্যাক্টর বলা যেতে পারে। আর এই বিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে সৌরশক্তি ব্যবহার করে পানিকে ভাগ করে ফেলার প্রক্রিয়া তৈরি করছি। এটি সম্ভব হলে আমরা শক্তি সঞ্চয় করতে পারবো এবং আগামী দিনের সঞ্চয় হিসেবে এই শক্তি কাজে লাগাতে পারবো।'