অর্থনীতি মজবুতে অন্য পথ খুঁজছে সৌদি আরব

সারা বিশ্বের তেলের যোগানের বড় একটা অংশ আসে সৌদি আরব থেকে। কিন্তু তেলের পড়তি দাম এবং যোগানের আরো উৎসবের ফলে এই খাত থেকে রোজগারের পথ সংকুচিত হয়ে আসছে তাদের। ফলে অর্থনীতি মজবুত করতে অন্য পথ খুঁজছে পৃথিবীর অন্যতম সম্পদশালী দেশটি।

সম্প্রতি এমন কথা শোনা গেলো সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কণ্ঠে। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন যে, তার দেশের নাগরিকরা প্রতি বছর ২২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেন বিদেশ ভ্রমণ করে। আর এই ভ্রমণের বেশিরভাগই হয় আনন্দ-ভ্রমণ। সুতরাং দেশের ভিতরে যদি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায়, তবে এই টাকাটা থাকতে পারে দেশের ভেতরেই। যা শক্তিশালী করে রাখবে সৌদির অর্থনীতি।

মোহাম্মদ বিন সালমান, সৌদির ক্রাউন প্রিন্স তাই চাইছেন, সৌদি আরব সরকার নাগরিকদের বিনোদনের জন্য যথাযথ কেন্দ্র গড়ে তুলুক দেশের ভেতরেই। যাতে নাগরিকরা তাদের অর্থ দেশেই খরচ করার পথ করতে পারেন।

এ দিকে ইরানের উপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেয়ার পর, বিশ্বে তেলের বাজারে তারাও এখন শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে। যা তেলের বাজারে সৌদি আরবের একচ্ছত্র আধিপত্যের পথে বড় এক বাধা। এই বাস্তবতা স্বীকার করেই সৌদি আয়ের নতুন খাত নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।

মোহাম্মদ বিন সালমান বলছেন, তেলের দাম বাড়লে সৌদি আরবের লাভ হবে। আবার কমে গেলে যে অনেক বড় ক্ষতি হবে, সেটা নয়। ২০২০ সালের মধ্যে তেলের দাম ইতিহাসের সবচেয়ে কমে পরিণত হলেও সৌদি আরব এখনকার মতোই চলতে পারবে বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।

তারপরও তিনি চাইছেন, সৌদি আরবের আয়ের আরো বিকল্প খাত তৈরি হোক। আর এই ভাবনা থেকেই দেশের ভিতরে নাগরিকদের জন্য উন্নত অবকাশযাপনের ব্যবস্থা করার পক্ষে অবস্থান তার।