অতিরিক্ত মেসেজিংয়ে অচল হয়ে পড়তে পারে আপনার হাত

মাত্রাতিরিক্ত হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বা টেক্সট মেসেজের ব্যবহার আপনাকে আক্রান্ত করতে পারে মারাত্মক এক রোগে। হয়তো অবাক হবেন, কিন্তু এটা সত্য যে অতিরিক্ত মেসেজিংয়ের কারণে আপনি বা আপনার কাছের কোনো 'মেসেজিং ফ্রিক' বন্ধু আক্রান্ত হতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপাইটিস নামের নতুন ধরনের এক রোগে।

সম্প্রতি স্পেনের এক গবেষণায় দেখা যায়, দৈনিক ৬ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে যারা ১৩০ গ্রামের মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপ, মেসেঞ্জার বা অন্যান্য মেসেজিং অপশন ব্যবহার করেন, তারা হোয়াটসঅ্যাপাইটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে ধীরে ধীরে আপনার বুড়ো আঙুল অকেজো হয়ে যেতে পারে।

রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ প্রায়শ কব্জিসন্ধিতে ব্যাথা ও অস্বস্তি, একটানা দীর্ঘসময় কাজ করতে না পারা, হাতের পেশিতে ব্যাথা, হাত অসাড় হওয়া, হাতে পর্যাপ্ত শক্তি না থাকা। রাত যতো গভীর হয়, ব্যাথা আরো বাড়তে থাকে। নার্ভে আক্রান্ত হওয়ার আগে হাতের বুড়ো আঙুল ও কব্জিতে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এক সময় এটি কারপাল টানেল সিনড্রোমে পরিণত হতে পারে।

মেসেজিংয়ের জন্য ক্রমাগত আঙুল নাড়ানো বন্ধ না করলে আপনার হাতের বুড়ো আঙুলটি স্থায়ীভাবে অকেজোও হয়ে যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, স্মার্টফোনের ওজনের ওপর হাতের আঙুলের অবস্থান নির্ভর করে। সাধারণত কনিষ্ঠা আঙুলের গোড়ার দিক এবং অন্যান্য আঙুলের ডগার অংশ দিয়ে স্মার্টফোন ধরতে হয়। কিন্তু দিনে দিনে স্মার্টফোনের আকার যেমন বাড়ছে, মেসেজ করার সময় বুড়ো আঙুলকে অনেক দূর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হচ্ছে। এতে বুড়ো আঙুল ও কনিষ্ঠা আঙুলের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে সম্পূর্ণ হাত অকেজো হওয়ার আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা।