ছাত্রলীগ থেকে ১৯ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৯ কর্মীকে সাময়ীক বহিস্কার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিস্কারাদেশ দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'সংগঠনবিরোধী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিন্মোক্তদের সাময়িক বহিস্কার করা হলো।' পৃথক তিনিটি বিজ্ঞপ্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলের ১৯ কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে গত ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ০৮ কর্মীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এই ০৮ জনের মধ্যে একজন বিজয় একাত্তর হলের এটাস্ট শিক্ষার্থী। আর স্যার এ এফ রহমান হলের ৬ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ১১ জনকে বহিস্কার করা হয়েছে।

২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমর্থীত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ১২ জন আহত হয়ছিল। হলে ভাংচুর চালানো হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ওই ঘটনায় বহিস্কৃত ০৮ কর্মী হলেন- প্রথম বর্ষের প্রান্ত, সজীব, শুভ, রিয়াদ, রফিকুল, সবুজ ও দ্বিতীয় বর্ষের মাসুদ। একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এনে বিজয় একাত্তর হলের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সালমানকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

অন্যদিকে গত ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে স্যার এ এফ রহমান হলের টিভি রুমে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচের খেলা দেখার সময় হল সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ০৫ জন আহত হয়েছিল। ভাংচুর চালানো হয়েছিল টিভিরুমসহ কয়েকটি আবাসিক কক্ষে। ওই ঘটনার দায়ে বহিস্কৃত ০৬ জন হলেন- সমাজ কল্যাণ ইনস্টিটিউটের আপেল মাহমুদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের রাশেদ রাজন (প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে সাজা প্রাপ্ত) , বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মনজুর আহমেদ রানা, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সালাউদ্দিন আহমেদ সাজু ও ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন।

আর গত ২৩ এপ্রিল রোববার রাত ৮টার দিকে একই হলে ক্যান্টিনে খাবার টেবিলে বসা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ক্যান্টিন ভাংচুরের ঘটনায় ০৫ কর্মীকে বহিস্কার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুই ক্যান্টিন বয়সহ মোট ১৩জন আহত হয়েছিল। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইংরেজী বিভাগের রাসেল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ফারুক ও নাহিদ, ইসলামেল ইতিহাস বিভাগের রাশেদ ও ইতিহাস বিভাগের জামিলকে বহিস্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বহিস্কৃত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।