মানসিক দৃঢ়তাই সবার আগে, মনে করেন মাশরাফি

এ বছরের সবচেয়ে কঠিন সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কালই মাশরাফিরা আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দেশ ছাড়বেন। তার আগে আজ (২৫ এপ্রিল) মিরপুরে সফর-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক। সফর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে, এই সফরের সাফল্য- ব্যর্থতার অনেকখানি নির্ভর করবে দৃঢ়তাপূর্ণ মানসিক প্রস্তুতির উপর।

দৃঢ় মানসিক প্রস্তুতিই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এনে দিতে পারে সাফল্য, মঙ্গলবার মিরপুরে অনুষ্ঠেয় সংবাদ সম্মেলনে বললেন মাশরাফি।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে পহেলা জুন। তার আগে আয়ারল্যান্ডে স্বাগতিক দল ও নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলবেন মাশরাফিরা। তবে মূল আগ্রহ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েই। এক দশকেরও বেশি সময় পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে ১৪টি ওয়ানডে। এর মধ্যে তিন জয়ের বিপরীতে হার ১১টিতে। ছোট্ট এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের জন্য কতোটা কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।

মাশরাফিকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, বাস্তবতার দৃষ্টিতে এই আসরে ঠিক কী আশা করছেন তিনি। উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষের দিকে তাকালে বলবো, এই সফরটা কঠিন হতে যাচ্ছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে আমরা স্বাগতিকদের দুইবার হারিয়েছি, কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় আছে; তারপরও বলবো আমাদের জন্য কিছুই সহজ হবে না। সব কিছু নির্ভর করছে আমাদের মানসিক প্রস্তুতির উপর। আমরা যতো দ্রুত মানসিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে পারবো, ফলাফল ততো ভালো হবে। মানসিক প্রস্তুতি ঠিকঠাক না হলে, ২০-২৫ দিনের ক্যাম্পও আসলে তেমন কোনো কাজে লাগবে না।’

আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে সাসেক্সে ১০ দিনের ক্যাম্প করবেন মাশরাফিরা। এই ক্যাম্প থেকে কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা নিয়ে মানসিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ; মনে করেন অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘মানসিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্যাম্প সব সময় সহায়তা করে। আবার ক্যাম্পই যে সব, তাও কিন্তু নয়। আমরা ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আগের ক্যাম্প থেকে অনেক কিছু শিখেছিলাম। পরে ভালো খেলেছি বিশ্বকাপেও। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগের ক্যাম্প করেও কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’

২০১৪ সালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব পেয়েই দলকে বদলে ফেলেছিলেন মাশরাফি। তার অধিনায়কত্বের ম্যাজিকের মূলমন্ত্র ছিলো লড়াইয়ের দৃঢ় মানসিকতা। সেই মন্ত্র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেও জপছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তিনি নিশ্চয় মনেপ্রাণে চাইবেন, এই মন্ত্র ছড়িয়ে পড়ুক স্কোয়াডের সব সদস্যের মনে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর আরো একটা বৈশ্বিক ওয়ানডে আসরে তবেই মিলতে পারে প্রত্যাশা- ছোঁয়া সাফল্য।