বেঙ্গালুরুকে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে বিস্ময়কর জয় কলকাতার

আগে ব্যাটিং করে মাত্র ১৩১ রানের পুঁজি পেয়েছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও ৩ ওভার চার বলে ৪৮ রানের ওপেনিং জুটিতে আরো বড় পুঁজিরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সুনিল নারিন ও গৌতম গম্ভির। কিন্তু তা হয়নি। তারপরও অবশ্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৮২ রানের বিস্ময়কর জয় পেয়েছে কলকাতা।

১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বেঙ্গালুরু! আইপিএলে নিজেদের ইতিহাসে এতো কম রানে আর কখনোই অলআউট হয়নি তারা। বিরাট কোহলি আউট হয়েছেন নিজের প্রথম বলেই। ক্রিস গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। করতে পারেননি কিছুই। ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যর্থতা বেঙ্গালুরুকে দেয় বিশাল লজ্জা।

এর আগে, দুই ম্যাচ মিলে শুধু বাউন্ডারি থেকে ৬০ রান নিয়ে একটা সিঙ্গেল নেন নারিন! আগের ম্যাচেই শুধু বাউন্ডারিতে আইপিএলে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড করেন তিনি। এই ম্যাচে নারিনের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩৪ রান। কলকাতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান— ১৮, করেন ক্রিস ওকস।

১৩১ রানের সামান্য পুঁজি নিয়ে কলকাতা যে এই ম্যাচটা জিতবে, এমন ভরসা ছিলো না। তারপরও ইডেন পার্কের ঠাসা গ্যালারিকে অবাক করে দিয়ে জিতে যায় গম্ভিরের দল।

কলকাতার হয়ে এ দিন বোলিং করেন শুধু চার পেসার— নাথান কালটার নাইল, উমেশ যাদব, ক্রিস ওকস ও কলিন ডে গ্রান্ডহোম। এদের মধ্যে উমেশ ছাড়া বাকি তিনজন তুলে নেন তিনটি করে উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় বলে স্ট্রাইকে আসা বিরাট কোহলিকে প্রথম বলেই ফেরান নাইল।

শূন্য রানে কোহলির আউটটাই বোধহয় বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানদের মনোজগত এলোমেলো করে দেয়। একেরপর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। বেঙ্গালুরুর ১১ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি!

গ্রান্ডহোম মাত্র চার রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। ক্রিস তার দুই রান বেশি দিয়ে নেন সমানসংখ্যক উইকেট। সে তুলনায় বেশ খরুচে ছিলেন নাইল। তিনি তিন উইকেট নিতে দিয়ে দেন ২১ রান। এই তিন পেসারের সামনেই মূলত ধসে যায় বেঙ্গালুরু। তাদের বাকি থাকা উইকেটটা নেন উমেশ যাদব।

অবিশ্বাস্য ও বিস্ময়কর ভাবে নয় ওভার চার বলের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় আইপিএলের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন। ৮২ রানে হেরে যায় বেঙ্গালুরু। এমন অবিশ্বাস্য হার কি বেঙ্গালুরুর আইপিএলটাই শেষ করে দিলো? এই হারের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি পাবে তারা?