ফুরিয়ে যাননি, এক ইনিংসেই বুঝিয়ে দিলেন ধোনি

৩৪ বলে ৬১ রান। এমএস ধোনির জন্য এক সময় এমন একটা ইনিংস তেমন বড় কোনো ব্যাপার ছিলো না। কিন্তু এবারের আইপিএলে নিজের প্রথম পাঁচ ম্যাচে ধোনির ব্যাটসম্যান সত্তার খোঁজই মিলছিলো না। মনে হচ্ছিলো, ধোনি আর আগের মতো নেই। তিনি ফুরিয়ে গেছেন। কিন্তু ষষ্ট ম্যাচে এসে ধোনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখনো ফুরাননি।

আইপিএলে নিজেদের ষষ্ট ম্যাচে ধোনির দল রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট খেলেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। এই ম্যাচে জেতার জন্য পুনের লক্ষ্য ছিলো ১৭৭ রান।
ধোনি যখন মাঠে নামেন, পুনের তখন ওভার প্রতি ১০ করে নেয়ার প্রয়োজন ছিলো। এ সময়েই দারুণ বোলিং করে হায়দরাবাদ চেপে ধরেছিলো পুনেকে। তখনই ধোনি তার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলেন ৩৪ বলে ৬১ রানের অনন্য অসাধারণ এক ইনিংস। এই ইনিংসে পাঁচটি চার ও তিনটি ছয় মারেন তিনি।

শেষ ছয় ওভারে পুনের প্রয়োজন ছিলো ওভার প্রতি ১২ রানের বেশি। এই অবস্থা থেকেও পুনে জিততে পারে তা মনেই হচ্ছিলো না। এ ছাড়া আইপিএলে ধোনের আগের পাঁচ ইনিংস থেকেও তেমন কোনো ভরসার রসদ পাওয়া যাচ্ছিলো না।

ধোনি এই সময়টিকেই বেছে নিলেন নিজের ঝলক দেখানোর জন্য। একের পর এক শট খেলে ১২ রানের প্রয়োজন মেটালেন প্রায় অনায়াসে। ম্যাচের শেষ বলে জেতার জন্য দুই রান দরকার ছিলো পুনের। দারুণ এক চার মেরে ছয় উইকেট হাতে রেখেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ধোনি।

এমন একটা ইনিংসের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধোনির প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। অথচ দুদিন আগেও নানা সমালোচনা হচ্ছিলো তাকে নিয়ে। ভারতের একজন সাবেক অধিনায়ক তো বলেই দিয়েছিলেন যে, ধোনি ফুরিয়ে গেছেন। তাকে দিয়ে আর চলে না।

এমন কি, ধোনি দল পুনের মালিকের এক ভাইও তাকে কটাক্ষ করে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের জবাবে আবার ক্ষেপে গিয়েছিলেন ধোনির ভক্তরা। সব মিলিয়ে ধোনিকে তুলকালামই চলছিলো ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গনে। কিন্তু ধোনি মন দেননি কিছুতেই। তিনি কেবল অপেক্ষা ছিলেন, নিজেকে আবার দেখানোর। সেই কাজটা তিনি করলেন রাজকীয়ভাবেই।