এরদোগান: আমি স্বৈরশাসক হবো না

নতুন সংবিধানের আওতায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হলেও তিনি একজন স্বৈরশাসক হবেন না বলে মার্কিন সংবাদ নেটওয়ার্ক সিএনএনকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এরদোগান নিজেই।

উল্লেখ্য, গত রবিবার তুরস্কের নতুন সংবিধান গণভোটের মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে। এর আগে দেশটির পার্লামেন্ট নতুন সংবিধানের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিলো। গণভোটের মাধ্যমে তা পাকাপোক্ত করা হয়।

গণভোটে নতুন এ সংবিধান অনুমোদিত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের হাতে মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়োগ ও বরখাস্ত করার করার ক্ষমতা চলে এলো। ফলে এখন চাইলেই এরদোগান দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলোপ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে একটি ভাইস প্রেসিডেন্টের পদের সৃষ্টি করা হবে। এছাড়া রিসেপ তায়িপ এরদোগান আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।

তবে সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, আমার সুবিধার জন্য নয়, বরং তুরস্কের সুবিধার জন্যই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি একনায়ক হবো না। আমি মরণশীল। আমি যেকোনো সময় মারা যেতে পারি। গণভোট প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, এই ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে। জাতি যা চেয়েছে তাই হয়েছে। জাতির ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে এই গণভোটে।

এদিকে তুরস্কের প্রধান দুটি বিরোধী দল গণভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে। বিরোধী দল দুটির বক্তব্য, নিজের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ এবং পাকাপোক্ত করতেই এই পরিবর্তন এনেছেন এরদোগান। তাদের দাবী, এরদোগান ধীরে ধীরে একজন স্বৈরশাসকে পরিণত হচ্ছেন।