সিরিজ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে মাশরাফিদের

বড় আশা নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। জিতলেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পাওয়া যেতো। শেষ হতো বিদেশের মাটিতে সিরিজ জেতার দীর্ঘ প্রতীক্ষাও। কিন্তু হলো না কিছুই। মাশরাফিদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সিরিজ ড্র করেই।

কলম্বোতে আজ বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছিলো ২৮১ রানের। কিন্তু সাব্বির ও মুশফিকের জোড়া শূন্যের দিনে বাংলাদেশ করতে পারলো মোটে ২১০ রান। সব উইকেট হারিয়ে। হারতে হলো ৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে।

কুসাল মেন্ডিস ও থিসারা পেরেরার হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৮০ তুলেছিলো শ্রীলঙ্কা। এটা বাংলাদেশি বোলারদের সফলতাই বলতে হবে। কারণ শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং এতোটাই দাপুটে ছিলো যে, মনে হচ্ছিলো আজও ৩০০-এর বেশি করে ফেলবে তারা। কিন্তু তা হয়নি।

বাংলাদেশি বোলাররা শুরুতে এলোমেলো থাকলেও পরে নিজেদের গুছিয়ে নেয়। প্রথম ইনিংস শেষে আশা নিয়েই খেলা দেখতে বসেছিলেন বাংলাদেশি দর্শকরা। কারণ মাশরাফি আগেই বলে রেখেছিলেন যে, এই উইকেটে ২৮০ বা ২৯০ রান তাড়া করার মতোই লক্ষ্য। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এই রানই হয়ে গেলো পাহাড়সমান।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম আঘাতটা পায় তামিমের উইকেট হারিয়ে। নিজের বলেই কঠিন একটা ক্যাচ নেন নুয়ান কুলাসেকারা। অভিজ্ঞ এই পেসার তামিমকে ফেরানোর পর সাব্বিরকে বানান চান্দিমালের ক্যাচ। মাঝখানে প্রথম বলে, শূন্যতেই এলবিডব্লিউর শিকার হন মুশফিকুর রহিম। ১১ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে বাংলাদেশ।

এরপর ৭৭ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দিয়েছিলেন সাকিব ও সৌম। কিন্তু সৌম্য হঠাৎ করেই দোটানায় ভোগা এক শটে বিদায় নেন। তখন দলের সংগ্রহ ৮৮ রান। ১১১ রানে গিয়ে এলোমেলো শট খেলতে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। বাংলাদেশ তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। তারপরও আশা ছিলো মোসাদ্দেক ও মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে। কিন্তু এ দুজন তেমন কিছু করতে পারেননি।

শেষ দিকে মিরাজ অত্যন্ত ধৈর্যসহকারে উইকেটে পড়ে থাকলেও, তখন আসলে তার আর কিছু করার ছিলো না। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করার পর তিনি আউট হন। তার আগে নবম উইকেটে তাসকিন নিয়ে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। কিন্তু শেষমেষ ২১০ রানের বেশি আর করা হয়নি বাংলাদেশের।

শ্রীলঙ্কার হয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন নুয়ান কুলাসেকারা। দুটি করে শিকার সুরাঙ্গা লাকমাল, দিলরুয়ান পেরেরা ও সেকুগে প্রসন্নর।