১৬ বছর পর বধ হলো পাকিস্তান

এক যুগ এবং আরো চার বছর পর আবারও পাকিস্তানকে বধ করলো বাংলাদেশ। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এটিই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। শুক্রবার মিরপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ের মাধ্যমে ঘুচলো ১৬ বছরের আক্ষেপ। তামিম ও মুশফিকের দুরন্ত সেঞ্চুরির দিনটি হয়ে রইলো আনন্দময়।

১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে প্রথম সুযোগ পেয়েই চমক দেখায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে হারিয়ে হৈচৈ ফেলে দেয় আমিনুল ইসলামের দল। তারপর একে একে হারানো গেছে সব বড় দলকেই। কিন্তু কেনো যেনো পাকিস্তানকে আর বাগে পাওয়া যায়নি। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে মাত্র দুই রানের আফসোসে পুড়তে হয় বাংলাদেশকে। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে ৩২৬ রান করেও অধরা থেকে যায় জয়। দিনে দিনে তাই বাড়তে থাকে আক্ষেপ।

শুক্রবার সেই আক্ষেপটাই ঘুচালো বাংলাদেশ। ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে তিন তিনটি রেকর্ড গড়েন সাকিবরা। তৃতীয় উইকেটে তামিম ও মুশফিক গড়েন ১৭৮ রানের জুটি। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। সেঞ্চুরি করেন দুজনই। এর আগে কখনোই এক ওয়ানডে ইনিংসে কোনো দুই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেননি। তামিম ও মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ তুলে ৩২৯ রান; এটিই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩২ রান করেন তামিম। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১০৬ রান। পাকিস্তানের হয়ে চারটি উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ।

পরে ৩৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫০ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ৫৯ রানের মধ্যে প্রথম দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। পরে তৃতীয় উইকেটে ৮৯ রান যোগ করে ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে ফেলার চেষ্টা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলি ও হারিস সোহাইল। দলীয় ১৪৮ রানে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন। ৭২ রান করা আজহারকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। এরপর থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান আর সমান্তরালে বাড়তে থাকে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা। বাংলাদেশে জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে যান অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা সময়ের জন্য বেশ অস্বস্তিতেই রাখেন তিনি।

তারপরও অবশ্য ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়নি একবারও। দলীয় ২৪৯ রানে রিজওয়ানকে ফেরান রুবেল। তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে নাসিরের হাতে ধরা পরেন রিজওয়ান। তার বিদায়ের মাধ্যমে অষ্টম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ম্যাচের এ পর্যায়ে পাকিস্তানের পরাজয় হয়ে দাঁড়ায় সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত ২৫০ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে তাসকিন ও আরাফাত সানি। পাকিস্তান দুই উইকেট হারায় রান আউটের ফাঁদে পড়ে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

পাকিস্তানের লক্ষ্য ৩৩০ রান

এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরির রেকর্ড

তামিমের কাজ তামিমই করলেন!