ঝটিকা মিছিলের কৌশল আ.লীগের, জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন- চাপে পুলিশ

রাজধানীতে সম্প্রতি ঝটিকা মিছিলের পথ বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি ঝটিকা মিছিল করেছে তারা। এসব মিছিলে 'শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে', এমন স্লোগান দিতে শোনা গেছে।

রাজধানীতে সম্প্রতি ঝটিকা মিছিলের পথ বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের এ ধরনের আকস্মিক মিছিলের ঘটনায় রাজধানীতে জনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটছে, মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আতংক। ঝটিকা মিছিল প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন পড়েছে চাপে।

আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যেন মিছিল বা সভা-সমাবেশ করতে না পারে। এ বিষয়ে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একের পর এক ঝটিকা মিছিল

গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। সর্বশেষ উত্তরা এলাকায় ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) উত্তরখান ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল হয়।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সকালে বাড্ডা-ভাটারা-রামপুরা সড়কে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন।

তার আগে ৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ. লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ঝটিকা মিছিল হয়।

এসব মিছিলে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু', 'শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে', 'শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই'- ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।

অভিযানে গ্রেপ্তার

পুলিশ জানায়, রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল শাহে আলম মুরাদসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিলগুলো সাধারণত ভোরবেলায় বা জনশূন্য সময়ে হচ্ছে। ঝটিকা মিছিল নিয়ন্ত্রণে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।