ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে মাস্কের আপত্তি!

টেক জায়ান্ট ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক

ট্রাম্প সকল আমদানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ এবং চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর আরও বেশি ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপ করেছেন।

দুটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে মাস্কের এই শুল্ক প্রত্যাহারের আবেদন সফল হয়নি। উল্টো ট্রাম্প সোমবার চীনের ওপর আরোপিত ৩৪ শতাংশ শুল্কের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

মাস্ক তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যানের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধা তুলে ধরা হয়েছে এবং একটি সাধারণ পেন্সিল তৈরির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কীভাবে উপকরণ সংগ্রহ করা হয় তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

শুল্ক নীতি নিয়ে মাস্ক এবং ট্রাম্পের মধ্যে মতবিরোধ বর্তমানে তাদের ‘সবচেয়ে উচ্চ-প্রোফাইল মতানৈক্য’। শনিবার (৫ এপ্রিল) মাস্ক হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোর সমালোচনা করেছেন, যিনি শুল্ক পরিকল্পনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মাস্ক এক্সে লিখেছেন, ‘হার্ভার্ড থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করা খারাপ, ভালো নয়।’

এক্সের মালিক শনিবার ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে একটি ‘শূন্য-শুল্ক’ ব্যবস্থার আশা প্রকাশ করেছেন যা ‘কার্যকরভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল তৈরি করবে।’

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাস্ক, উৎপাদন ও বিক্রয়ের জন্য আমেরিকা ও চীনের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে শুল্ককে কোম্পানির লক্ষ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনা আমদানির ওপর শুল্কের বিরুদ্ধে টেসলার মামলা দায়ের করার মাধ্যমে তার বিরোধিতা শুরু হয়।

এদিকে, বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনে তার পদ ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। তিনি জানুয়ারি থেকে সরকারি দক্ষতা বিভাগের ব্যয় সংকোচনের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।