বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও উস্কে দিলেন ট্রাম্প, গাড়ি আমদানিতে ২৫% শুল্কারোপ

বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও উস্কে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার আমদানিকৃত গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ নতুন শুল্ককর আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, সর্বশেষ শুল্ক আরোপ আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। যন্ত্রাংশের ওপর কর আরোপ মে বা তার পরে শুরু হবে।

ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন শিল্পের জন্য অসাধারণ প্রবৃদ্ধি বয়ে আনবে এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন, আরোপিত শুল্ক ক্ষণস্থায়ী নয় এবং আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি গাড়ি নেন, তবে কোনও শুল্ক নেই।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, মার্কিন ব্যবসা রক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গাড়ির উপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পদক্ষেপগুলো দেশীয় ব্যবসাকে রক্ষা করতে পারলেও, বিদেশ থেকে আসা যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসার জন্য খরচও বাড়িয়ে দেবে। আর শেষপর্যন্ত তা গিয়ে ঠেকে গ্রাহক বা ভোক্তার ওপরই।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির ম্যানুফ্যাকচার সাময়িকভাবে উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে, দাম বৃদ্ধি পাবে এবং মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেবে।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৮০ লাখ গাড়ি আমদানি করেছে - যা বাণিজ্যের প্রায় ২৪০ বিলিয়ন ডলার এবং মোট বিক্রির প্রায় অর্ধেক।

মেক্সিকো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির শীর্ষ সরবরাহকারী দেশ। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, কানাডা ও জার্মানি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর যুক্তরাষ্ট্রই সর্ববৃহত গাড়ি ও যন্ত্রাংশ আমদানিকারক।

ট্রাম্পের সর্বশেষ পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী গাড়ি বাণিজ্য এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে উল্টে দেওয়ার হুমকি হিসেবেও বিবেচনা করছেন অনেকে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি রপ্তানিকারক দেশ জাপান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আরোপিত শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় তারা সমস্ত বিকল্প আলোচনার টেবিলে রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাজ্যের গাড়ি রপ্তানি কোম্পানি সোসাইটি অফ মোটর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডার্সের প্রধান নির্বাহী মাইক হাউস বলেছেন, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন সরকারকে অবিলম্বে একত্রিত হয়ে সবার জন্য কার্যকর এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।