নেতানিয়াহুর নির্দেশে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতার ফেরত ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব অনুযায়ী আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

শনিবারের বৈঠকের পর নেতানিয়াহু উইটকফের প্রস্তাবনা অনুসারে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় প্রস্তুতি নিতে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলকে নির্দেশ দেন। প্রস্তাবে ১১ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্তি এবং নিহত বন্দীদের অর্ধেকের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় উইটকফ নতুন প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম কানের খবরে বলা হয়, উইটকফ ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। ইসরায়েল পরিকল্পনাটি গ্রহণ করেছে বলে দাবি করলেও হামাস প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে।

হামাসের দাবি, আগের তিন পর্বের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনেই আলোচনা দ্বিতীয় পর্যায়ে এগোতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

২ মার্চ প্রথম পর্বের ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হয়। এই সময়ে ১৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ২৫ জন জীবিত এবং ৮ জন মৃত ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত দিয়েছিল হামাস। তবে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে এগোতে অস্বীকৃতি জানায় ইসরায়েল। ফলে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখের বেশি আহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি