১০ গ্রেডে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদায় প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা

সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এখন থেকে ১০ গ্রেডে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এই রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

বাংলাদেশ হাইকোর্ট ভবন

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দিয়েছেন। হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের এই রায় এলো। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ওই রুলে তৎকালীন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড পদমর্যাদায় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে নির্দেশ দেন।

ওই সময়ে আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন আদালতকে জানিয়েছিলেন, প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা ১১ ও ১২তম গ্রেডে বেতন পান। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন পান দশম গ্রেডে।

নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগেও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা বেতন পান জাতীয় বেতন কাঠামোর দশম স্কেলে। ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও এতদিন তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়।

ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা হয়।

এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। 

১১তম ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক। অবশেষে সেই রায় পেলেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা।