ডব্লিউএফপির সতর্কতা: ২ সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে গাজার খাদ্য

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকায় খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, তাদের হাতে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের খাদ্য মজুত অবশিষ্ট আছে। এরপর আর এই সরবরাহ দিয়ে গণরান্নাঘর এবং বেকারিগুলো চালানো সম্ভব হবে না।

গাজায় এক নারী রান্না করছেন

হামাসকে একটি বিকল্প যুদ্ধবিরতি চুক্তি গ্রহণে চাপ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ইসরায়েল এই অবরোধ আরোপ করেছে। ছয় সপ্তাহের নাজুক যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যা হামাস প্রত্যাখ্যান করেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলের অবরোধ আরোপের ঘোষণার পর মানুষ আতঙ্কিত হয়ে জরুরি মজুদ করার জন্য বাজারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফলে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে।

১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর গাজার জনগণ সম্পূর্ণরূপে ট্রাকযোগে আনা খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং তারা আশ্রয়ের জন্যও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি।

ইসরায়েলের এই অবরোধ মানবিক সহায়তাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোকেও চরম চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তারা সীমিত মজুদ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মধ্যে বিতরণের চেষ্টা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (৫ মার্চ) দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের গাজায় সাহায্য প্রবাহ সীমিত করার নিন্দা জানিয়েছে এবং অবরোধের মাধ্যমে অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতে, গাজায় খাদ্য প্রবেশে বাধা দেওয়া ইসরায়েলের যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধা ব্যবহারের ধারাবাহিকতা, যা আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার সম্ভাব্য অভিযোগের অংশ।