রমজানের ১ম দিনে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বুলডোজার

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার অধিকৃত পশ্চিম তীরের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে আল-মানশিয়া এলাকার বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মুসল্লিরা রমজান মাসের প্রথম রোজা পালন করে।

ছবি - সংগৃহীত

নুর শামস শরণার্থী শিবির কমিটির প্রধান নিহাদ আল শাভিশ তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, ইসরায়েলি বাহিনীর বেশ কয়েকটি সামরিক বুলডোজার আল-মানশিয়ার আশেপাশে হামলা চালিয়ে রাস্তাঘাট ধ্বংস করে এবং আবাসিক ভবনগুলোর কিছু অংশ ভেঙে ফেলে।

তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি বাহিনী নুর শামস শরণার্থী শিবিরের আশেপাশের বাসিন্দাদের সরে যেতে বাধ্য করেছে। এমনকি শিবিরের সমস্ত বাসিন্দাদেরও চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ তারা বড় আকারের বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি করেছে।

নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ২১ দিন ধরে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলের শহরগুলো বিশেষ করে জেনিন এবং তুলকারেমে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এর ফলে কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক জেনিন শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলিদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার শুরু হয়। 

এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, চলমান সামরিক অভিযানের লক্ষ্য নেতানিয়াহু সরকারের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার এবং এর উপর সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করার একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এর ফলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সমাপ্তি ঘটতে পারে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অর্থাৎ গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৯২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ৭ হাজার জন আহত হয়েছিল। 

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বকে ‘বেআইনি’ বলে ঘোষণা করেছে। এছাড়া পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম থেকে সমস্ত ইহুদি বসতি সরিয়ে নেওয়ার জন্যও বলেছে আদালত।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি