সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নেপথ্যে আ. লীগের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রধান নিয়ামক শক্তি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা।

ছবি - সংগৃহীত

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বিপ্লবের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের আগেই সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা চলছে। এমনকি ভারতীয় প্রভাব বিস্তারেরও আশঙ্কা রয়েছে বলে তারা মনে করেন।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান নिरন্তর চলছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক ও গণঅবস্থানের সংগঠক আবদুল ওয়াহেদ, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান আনিছুর রহমান এবং সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ।

লিখিত বক্তব্যে আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “জুলাইয়ে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু সেনা সদস্যরা ছাত্র-জনতাকে হত্যা করতে অস্বীকৃতি জানালে ৪৯ বছর পর দেশে পুনরায় সিপাহী-জনতার বিপ্লবের জন্ম হয়।” তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার কথামতো বন্দুক চালাতে অস্বীকার করে বহু জায়গায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং আন্দোলনরত জনগণকে সহায়তা করে।”

আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে সামাজিক মাধ্যমে ভূমিকা রাখা কিছু লোক, বিতর্কিত দালাল বুদ্ধিজীবী ও সেক্যুলার-বামপন্থী কার্যকর্তারা জুলাই বিপ্লবে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব-উত্তর একটি শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়তে হলে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ বছরের জাতীয় সঙ্কট ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়। এ সময়ে বাংলাদেশকে অতীতের সকল জঞ্জাল মুক্ত করে পরিগঠন করতে হবে এবং পরিগঠনের সময়ে সামরিক বাহিনীকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত করতে হবে।